শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রূপদিয়া রেল স্টেশনটির প্লাটফর্ম দখল করে গরুর হাট বসিয়েছে ১৪ নং নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নং ইউপি সদস্য ও একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিম বিশ্বাস। তার সাথে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বিশ্বাস। এই দুই নেতার নের্তৃত্বে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। তবে এ ব্যাপারে রেলস্টেশনের কোন কর্মকর্তা ভয়ে কথা বলতে সাহস পায় না।
রেল স্টেশন সূত্র জানায়, যশোরের রূপদিয়া রেল স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২৪টি ট্রেন আপ-ডাউন করে থাকে। এই স্টেশন দিয়ে খুলনা-ঢাকা, খুলনা-কলিকাতা, খুলনা-রাজশাহী, খুলনা-সৈয়দপুর, খুলনা-বেনাপোল ট্রেন যাতায়াত করে থাকে। ফলে এই রেলস্টেশনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা কোরবান আলী নামে এক গরু ব্যবসায়ী বলেন, গরুর হাটটি আগে মাদ্রাসার মাঠে ছিল। এখন মাদ্রাসার মাঠ থেকে তুলে নিয়ে এসে প্লাটফর্মে বসানো হয়েছে।
যশোর রেলস্টেশন মাস্টার পুষ্পল চক্রবর্তী জানান, রূপদিয়া রেলস্টেশনে একটি ট্রেন দাড়ায়। আগে সাইদুজ্জামান নামে একজন স্টেশন মাস্টার ছিল। নতুন করে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি না তা তার জানা নেই। রেল স্টেশনের প্লাট ফর্ম দখল করে হাট বসানো বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে আজিম বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আসলে গরু হাটটি বেওয়ারিশ ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আগে হাইস্কুল মাঠে হাট বসত, কিন্ত সেখানে পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় মাদ্রাসার মাঠে হাট বসে। সেখানেও পরীক্ষার কেন্দ্র হওয়ায় ও পানি জমে থাকার কারণে রেলওয়ে থেকে ডিসিআর এনে রেলওয়ের জায়গায় হাট বসানো হয়েছে। আমাদের সভাপতি আবুল কাশেম বিশ্বাসের নের্তৃতে নতুন এই হাটটি তাই তেমন একটা জমজমাটভাবে জমে উঠেনি।
হাট বসানো ব্যাপারে জানতে হাটের পার্টনার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, খুলনা বিভাগীয় রেল কোম্পানির প্রধান ইজারা দিয়েছে। আজিম মেম্বার অনুমতি নিয়ে এসেছে। রেল লাইন থেকে ৫০ গজ দুরে আমরা হাট বসিয়েছি। এখানে মানুষের কোন সমস্যা হয় না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম বিশ্বাস বলেন, রূপদিয়া স্টেশনটি বন্ধ রয়েছে। এখানে কোন ট্রেন থামেনি। এক পর্যায়ে তিনি ট্রেনটি থামে বলে স্বীকার করেন।
প্লাট ফর্মে গরু-ছাগলের হাট বসানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনি স্টেশনের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি হাটে আসার আমন্ত্রণ জানান।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী বলেন, এই হাটের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার পরিষদের একজন ইউপি সদস্য এর সাথে জড়িত আছে। তারা স্টেশনটি দখল করে গরু-ছাগলের হাট বসিয়েছে।