বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

যশোরের সীমান্ত পথে আসছে ভারতীয় গরু খামারিদের লোকসানের আশংকা !

আবু বকর ছিদ্দিক শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি:

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার শার্শা, বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বৈধ অবৈধ উভয় পথেই ভারত থেকে গরু আসতে শুরু করেছে। বৈধ থেকে অবৈধ পথে বেশী সংখ্যাক ভারতীয় পশু আসছে। বৈধ পথে কি পরিমাণ গরু, ছাগল আসছে তার হিসাব কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসে থাকলেও অবৈধ পথে কী পরিমাণ ভারতীয় পশু আসছে তার কোন হিসাব নেই। দিন যতো গড়াবে এ সংখ্যা ততো বাড়বে বলে গরু ব্যবসায়ীরা ধারণা করছে। ভারত থেকে ব্যাপক হারে এ গরু, ছাগল এ দেশে আসায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে দেশি খামারিরা। তারা ব্যবসায়ে লোকসানের আশংকা করছেন। সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে বেশীর ভাগ স্থানে কাটা তারের বেড়া রয়েছে। তবে যে সব স্থানে কাটাতারের বেড়া নেই সেসব স্থান দিয়ে অনায়াসে শত শত ভারতীয় পশু আসছে বাংলাদেশে। আর কাটাতার সংযুক্ত এলাকায় গরু পার করার জন্য প্রয়োগ করা হচ্ছে নানা ধরণের কৌশল। আর এজন্য বিজিবি ও বিএসএফ কে দিতে হয় মোটা অংকের টাকা। বৈধ পথে গরু আনার জন্য বেনাপোলে কয়েকটি খাটাল অনুমোদন থাকলেও বেশীর ভাগ খাটাল অনুমোদন বিহীন। শার্শা, বেনাপোল, পুটখালী, অগ্রভূলট, দৌলতপুর, গোগা, রুদ্রপুর এই সব সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫ হাজার গরু, ছাগল অনায়সে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে এবং তা যত দিন যাচ্ছে ততো বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অবৈধ পথে যে পরিমাণ ভারতীয় পশু আসছে তার সঠিক হিসাব কারর কাছে নেই। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশী খামারিরা। যে আশা নিয়ে গরু মোটাতাজা করণ করেছিলেন সেভাবে পশুর উপযুক্ত দাম না পাওয়ার আশঙ্খা করছে খামারিরা। এ কারণে তারা লোকসানে পরতে পারে। তাই খামারিরা শার্শা, বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু আসা প্রতিরোধে বিজিবির কঠোর পদক্ষেপ দাবি করছেন। অবশ্য এমনটা মনে করছেন না যশোর জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ভাবতোষ কান্তি সরকার, তিনি বলেন, সীমান্ত পথে যদি ১শ থেকে ২শ পশু আসে তবে সেটা স্বাভাবিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে দৈনিক হাজার হাজার এলে অবশ্যই দেশী পশুর খামারিরা লোকসানে পড়বে। এটা অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular