সাফারি ব্রাউজার : অ্যাপলের যেকোনো ডিভাইসেই বিল্ট ইন ব্রাউজার হিসেবে সাফারি থাকে। এটি সব ডিভাইসের ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে কাজ করে। প্রযুক্তিবিদদের মতে সাফারি ব্রাউজার ব্যবহারের বেশকিছু ভালো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে এর বাহ্যিক চেহারা ও নিরাপত্তা ফিচার অন্যতম। অ্যাপল এটি তৈরি করায় ম্যাকওএসের জন্য ব্রাউজার হিসেবে এটি যথাযথ। তবে ভারী কাজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা হতে পারে।
গুগলের ক্রোম ব্রাউজার : এখন পর্যন্ত সব ধরনের প্লাটফর্মে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ও পরিচিত ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম। স্ট্যাটকাউন্টারের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ক্রোমের বাজার হিস্যা ৬৫ শতাংশ। বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে এক্সটেনশন ব্যবহারের সুবিধা থাকায় এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। এক্সটেনশনের সংখ্যার দিক থেকে ক্রোম এগিয়ে। মাইক্রোসফট এজে ১১ হাজার ১৯১টি এবং ফায়ারফক্সে ৩৮ হাজার এক্সটেনশন থাকলেও গুগল ক্রোমে এর সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৫টির বেশি। শক্তিশালী টুলস থাকায় ডেভেলপারদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয়।
মাইক্রোসফট এজ : ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য মাইক্রোসফটের ব্রাউজার খুব বেশি সহায়ক না হলেও বিভিন্ন ফিচারের কারণে এর ব্যবহার ইতিবাচক ফল দেবে। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে গেমিং বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে এটি ভালো সহায়তা করবে। উইন্ডোজ ও ম্যাকওএসে একত্রে কাজ করলে ফাইল আদান-প্রদানসহ সবক্ষেত্রে সহায়ক হবে এজ ব্রাউজার।
ফায়ারফক্স : অন্যান্য ব্রাউজারের তুলনায় মজিলার ফায়ারফক্স এখনো সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেনি। ২০০৪ সালে প্রকাশ্যে আসার পর মাইক্রোসফটের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের সঙ্গে এটি তুমুল প্রতিযোগিতা করেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ব্রাউজার এখনো ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে উন্নত কাস্টমাইজেশন অভিজ্ঞতা দিচ্ছে। ব্যবহারের অভিযোগ থাকলেও বিশ্লেষকদের মতে প্রয়োজন অনুযায়ী এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
অপেরা : প্রযুক্তিবিদদের মতে, আগে থেকে পছন্দ না হলে অপেরা ব্রাউজারে সুইচ না করাই ভালো। কেননা এতে বিল্ট-ইন অ্যাড ব্লকার থেকে শুরু করে, ভিপিএন, শক্তিশালী ট্যাব ম্যানেজমেন্ট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) ফিচারও রয়েছে। ব্রাউজারটির ডিজাইন হালকা হওয়ায় এটি ব্যবহারে তেমন সমস্যা হয় না। এছাড়া ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুযায়ী ইন্টারফেস পরিবর্তন করতে পারবে।