নিউজ ডেস্ক:
‘খোলাছাতুল ফাতাওয়া (খ–৩, পৃ. ৪৮ ও ৪৯) ও ‘ফাতাওয়া শামি’ (খ–৩, পৃ. ১২) গ্রন্থে পত্রযোগে বা চিঠির মাধ্যমে পারস্পরিক বিয়েবন্ধনের বৈধ প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে।
প্রথম প্রক্রিয়া : বর বা কনে যে কোনো একজন অন্যজনের কাছে লিখিত প্রস্তাব পাঠাল যে, ‘আমি তোমাকে এত টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে বিয়ে করলাম।’ অন্যজন ওই লিখিত প্রস্তাব পেয়ে দুইজন সাক্ষীর সামনে তা পাঠ করে শোনাল এবং সাক্ষীদের সম্বোধন করে বলল, ‘আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমি তাকে স্বামী হিসেবে বা স্ত্রী হিসেবে কবুল করলাম।’ এতে বিয়ে আইনত শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু পত্রের প্রস্তাব না শুনিয়ে শুধু একতরফা নিজের পক্ষে সাক্ষীদের কবুল শোনালে তা শুদ্ধ হবে না। অর্থাৎ এখানে যেমন উভয় পক্ষের প্রস্তাব ও গ্রহণ সাক্ষীদের শোনা জরুরি, তদ্রুপ মোবাইলের মাধ্যমেও উভয় পক্ষের ইজাব ও কবুল সাক্ষীদের শুনতে হবে। একইভাবে সাক্ষীদের কাছে বর-কনের কণ্ঠ, পরিচিতি সুস্পষ্ট হতে হবে।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়া : বিয়ের দায়িত্ব দিয়ে এক পক্ষ (বর-কনে) অপর পক্ষকে ওকিল নিযুক্ত করবে। উদাহরণত, ফাতেমা আবদুর রহীমকে ফোন করে বলল, ‘আমি তোমাকে আমার বিয়ের ওকিল নিযুক্ত করলাম তুমি আমাকে তোমার সঙ্গে বিয়ে করিয়ে দাও।’ আবদুর রহীম মোবাইলের মাধ্যমে তা শুনে দুইজন সাক্ষীর সামনে বলল, আপনারা দুইজন সাক্ষী থাকুন, আমি ফাতেমাকে বিয়ে করলাম।’ এতেও বিয়ে হয়ে যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রেও শর্ত হচ্ছে সাক্ষীদ্বয়ের সামনে সুনির্দিষ্টভাবে ফাতেমার পরিচয়, অর্থাৎ কোন ফাতেমা, তার বাবা বা দাদার নাম কী? সুস্পষ্টভাবে জানা থাকলে বিয়ে আইনত শুদ্ধ হয়ে যাবে; নতুবা হবে না।
তৃতীয় প্রক্রিয়া : বর-কনে পরস্পর কাউকে ফোনের মাধ্যমে ওকিল নিযুক্ত না করে যে কোনো এক পক্ষ থেকে তৃতীয় পক্ষের কাউকে উকিল নিযুক্ত করল। নিযুক্ত উকিল দায়িত্ব পেয়ে নিজে ওকিল হিসেবে দ্বিতীয় পক্ষের সামনে বিয়ের প্রস্তাব পেশ করল। দ্বিতীয় পক্ষ তা কবুল করে নিলে, তাতেও বিয়ে জায়েজ হয়ে যাবে।
(তথ্যসূত্র : আল্লামা ইবনু আবেদীন, আদদুররুল মুখতার+শামি : খ–৩, পৃ. ৮, ১৩, ২১-২৩;
এইচ এম সাঈদ, এডুকেশনাল প্রেস, করাচী, সংস্করণ ১৪০৬ হিজরি)।