নিউজ ডেস্ক:
পুরুষের জীবনে নারীর প্রেমে পড়া মোটেই নেতিবাচক কিছু নয়। প্রেমই পারে পুরুষের জীবনকে সার্থক করতে।
তবে নানা কারণে অনেক সময় সেই প্রেমের আয়ু খুব একটা দীর্ঘ হয় না। অনেকে আবার প্রেমজীবনে ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। কিন্তু এই ব্যর্থতার কারণ কী? সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রধানত এই চার কারণে প্রেমিককে মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যে কোন মেয়ের কাছে-
* যখন তিনি আপনার চেয়ে ভাল প্রেমিক পেয়ে যাবেন, তখন এমনটা হতে পারে। তার জীবনে এসে গেছে দ্বিতীয় পুরুষ। আপনার সঙ্গিনী যে পরিকল্পনা করে নিজের জীবনে তাকে ডেকে এনেছেন, এমনটা হয়তো নয়, কিন্তু ঘটনাচক্রে তিনি এসে পড়েছেন। আর সেই নতুন প্রেমিককে আপনার চেয়ে অনেক বেশি অ্যাটট্রাক্টিভ বলে মনে হচ্ছে তার। তেমনটা হলে আপনার প্রেমিকা আপনাকে ছেড়ে চলে তো যাবেনই।
*অধিকাংশ মেয়ে প্রেমের ক্ষেত্রে অভ্যাসকে অপছন্দ করে। একই মেসেজ রোজ রাত্রে প্রেমিকাকে পাঠানো, প্রতি বছর তার জন্মদিনে একই ধরনের উপহার দেওয়া এগুলো মন ভেঙে দেয় মেয়েদের। অভ্যাসের দাসত্ব করার অর্থ, রোম্যান্টিকতাকে বিদায় দেওয়া। এটাই অভিমত অধিকাংশ মেয়ের। আসলে নিত্যনতুন উপায়ে আকর্ষণ করতে হয় মেয়েদের মন। কোন বাঁধাগতে হাঁটতে গেলেই তারা হাঁপিয়ে উঠে।
* প্রতিটি মেয়েই প্রেমের ক্ষেত্রে একটা স্পষ্টতা চায়, একটা নিশ্চয়তা চায়। কারণ এই প্রেমই হয়ে উঠতে পারে তার ভবিষ্যত জীবনের আশ্রয়। সেক্ষেত্রে কোন মেয়েকে যদি আপনি আপনার ভালবাসার কথা জানাতে অতিরিক্ত সময় নেন, দীর্ঘদিন ধরে তাকে অপেক্ষায় রাখেন, তাহলে সে ক্লান্ত হয়ে বিদায় নিতে পারে। কাজেই কোন মেয়েকে ভাল লাগলে, বিষয়টি তাকে দ্রুত এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
* আপনি প্রেমিক হিসেবে অতি সক্রিয় হতে হবে। আপনি কেয়ারিং হবেন, রোম্যান্টিক হবেন- এটা আপনার প্রেমিকা নিশ্চয়ই চান, কিন্তু আপনার প্রেমের বাড়াবাড়ি যদি তার স্বাধীনতায় বা স্বাচ্ছন্দ্যে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে তা পছন্দ করেন না অধিকাংশ মেয়ে। তার চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময়ে আপনি তার সঙ্গে গেলেন, এতে আপনার বান্ধবী নিশ্চয়ই আপ্লুত হবেন, কিন্তু আপনি যদি রোজ তাকে অফিস থেকে পিক আপ করা শুরু করেন, তাহলে হয়তো অফিসের শেষে তিনি নিজের বন্ধুদের সঙ্গে একটু আড্ডা মারতে চাইলেও, সেই কাজে বাধা পড়ে। কাজেই প্রেমের ক্ষেত্রে এই জাতীয় বাড়াবাড়িগুলো এড়িয়ে চলুন। তাতেই মিলবে প্রেমিকার প্রেম।