নিউজ ডেস্ক:
তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। সহজেই যোগাযোগ করা যায় দূর হতে দূরান্তে। আর মোবাইল ফোন এ খাতে এনেছে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন। কিন্তু ভারতের উত্তর প্রদেশে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে স্মার্টফোনের কারণে বেশি মাখামাখি
হচ্ছে- এই অভিযোগ এনে মেয়েদের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
ওই গ্রামে জনসমক্ষে মেয়েদের মোবাইল ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের ওই গ্রামের নাম মাদোরা। শুধু তাই নয়। জরিমানাও নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি বাড়ির বাইরে কোনো মেয়েকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখা যায়, তাহলে গ্রামের প্রবীণরা ২১ হাজার রুপি পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করবেন। এই পরিমাণ অর্থ ভারতের যেকোনো গ্রামের একজন মানুষের আয় করতে কয়েক মাস লেগে যায়।
ওই গ্রামের খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যরা এ নিয়ম করেছেন বলেন জানান স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মকর্তা অরুণ কুমার। কিন্তু এ ধরনের নিয়ম দেশের সংবিধানের পরিপন্থী এবং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পঞ্চায়েতের বিশ্বাস, মোবাইল ফোনের কারণেই গ্রামের মেয়েরা বিভিন্ন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। তারা ছেলেদের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করছে। তাদের মেলামেশা বন্ধ করতেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ওই পঞ্চায়েত গরু জবাই করতে দেখলেও জরিমানা করবে বলে জানানো হয়।
এসব পঞ্চায়েত পরিচালনা করেন গ্রামের প্রবীণ পুরুষরা। যদিও তাদের অনেক কার্যকলাপ অবৈধ। তারপরও ভারতের উত্তর অংশের গ্রামে এদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে মারাত্মক অপরাধের অভিযোগও ওঠে। ভিন্ন ধর্মের নারী-পুরুষ বিয়ে করার কারণে তাদের ‘সম্মনজনক মৃত্যু’র মতো মারাত্মক অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তারা।
সূত্র : জিও নিউজ