বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

মেহেরপুর হাসপাতালে বিজয় দিবসে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ !

 

মাসুদ রানা, মেহেরপুর ঃ মহান বিজয় দিবসে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের কথা থাকলেও মেহেরপুর ২শ ৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তা করা হয়নি। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন মেহেরপুর ২ শ ৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল পরিদশনে যান। এসময় রুগীরা তাকে খাবারের মান সম্পর্কে অভিযোগ করেন।

হাসপাতালে ভর্তি রোগী মোসলেম উদ্দীন, রহিমা খাতুন, মিজানুর রহমান জানান, তাদের যে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তার মান ভালো নয়। বিশেষ করে যে ভাত দেয়া হয়েছে তা তারা খেতে পারেছেন না।।

খাবারের মান যাচাইয়ের জন্য পৌর মেয়র হাসপাতালের রন্ধন শালায় যেয়ে নি¤œ মানের চাউল, বাঁশি দই মিষ্টি সহ ছাগির মাংশ পান বলে অভিযোগ করেন।আজ শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে হাসপাতালে যেয়ে হাসপাতালের ক্লাক হাবিবুর রহমান ও ২জন বাবুর্চি ছাড়া আর কাউকে পাননি তিনি।

পৌরমেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, মহান বিজয় দিবসে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করার কথা রয়েছে। কিন্তু রোগীদের জন্য যে খাবার আনা হয়েছে সেগুলোকে কিছুতেই উন্নত বলা যায় না।আবার পরিমাপেও কম। তিনি বলেন, সকালে ১০০ গ্রাম আপেলের পরিবর্তে একটি আপেলের ৪ ভাগের ১ ভাগ দেওয়া হয়েছে, খাসির মাংশ দেবার কথা থাকলেও আনা হয়েছে ছাগির (পাঠির) মাংশ, মাংশর ওজন হবার কথা ৭৪ কেজি কিন্তু মেপে পাওয়ো গিয়েছে ৬৯ কেজি, চিকন বাস মতি চালের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে মোটা চাল, দই ও মিস্টিতে ছাতা ধরে দুঘন্ধ ছড়াচ্ছে। আবার ওজনেও ৮/১০ কেজি কম।

হাসাপাতালের ঠিকাদার লাল মিয়া জানান, ৫ বছর ধরে টেন্ডার নিয়ে মমামলা চলছে। মামলার কারনে পুরতন দামে খাবার সরবরহ করতে হচ্ছে এতে লস হচ্ছে। লস ঠেকাতে কিছুটা এদিক ওদিক হতেপারে। তবে তিনি এক প্রশ্নর জবাবে বলেন আওয়ামীলীগের লোকজন ৫ বছর আগে তাকে সিডিউল ড্রফ করতে না দিয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।তাই বিগত ৫ বছর কোন টেন্ডার হয়নি। তখন থেকে তিনি খানে খাবর সরবরহ করে আসছে। তিনি আরো বলেন, এখন থেকে প্রতিদিন মেহেরপুর পৌর পরিষদের একজন প্রতিনিধি হাসপাতালের কিচেনে উপস্থিত থাকবে। খাদ্য সরবরাহের তালিকা ধরে প্রতিটি খাবার বুঝেনেওয়া হবে।দুর্নিতী বাজদের হাত যতই শক্তিশালী হোক তাদের মুল উপটন করা হবে।

হাসপাতালের খবার বুঝেনেওয়ার দায়িত্বরত ডা. সুমাইয়া আকতার বলেন, বিষয়টা তত্বাবধায়ক স্যার নিজে দেখেন কিছু ক্ষনের মধ্যে তিনি আসবেন যা প্রশ্ন করার তিনাকে করেন।

মেহেরপুর চেম্বারের সাধারন সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল বলেন, সকালে হাসাপাতালে এসে উন্নতমানের খাবার পরিবেশনে যাতে কোন অনিয়ম না হয় বলে গিয়েছি। এ কথাও বলেছি দুপুরে এখানে রুগীদের সাথে খাব। তার পরও খাবারের মান ভাল করেনি। এভাবে চলছে হাসপাতাল। ঠিকাদার লাল মিয়া একটি মামলা করে বছরের পর বছর হাসপাতকালের খাবার সরবরহর নামে লুটপাট করছে। তাকে মামলা মিটিয়ে ফেলার জন্য বারবার অনুরোধ ও করেছি। কিন্তু তিনি তাতে কণ্যপাত করেনি।

হসপাতালের তত্ববধায়ক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, হাসপাতালে যে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তা নি¤œ মানের । এসব খাবার ঠিকাদারকে পরিবর্তন করে দিতে হবে।তবে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন পূর্বে যে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে তার মান সঠিক ছিল।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular