মেহেরপুর সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ৮ মে ॥ মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ প্রার্থী জেলা যুব লীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ৩ হাজার ৩০৩ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। পুনরায় ভোটগ্রহণ করা দুটি কেন্দ্রে তিনি ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৫১১। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর বিশ^াস ওই দুটি কেন্দ্রে পেয়েছেন ৫৭৬ ভোট। পুনরায় ভোট গ্রহণকৃত মেহেরপুর সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সূত্রে ভোটের ফলাফল পাওয়া গেছে।
গেল ২৫ তারিখে অনুষ্ঠেয় ১৩টি কেন্দ্রসহ গতকালের দুটি কেন্দ্রের ফলাফল যোগ করে মাহফুজুর রহমান রিটন (নৌকা) পেয়েছেন ১১ হাজার ৭২০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাহাঙ্গীর বিশ^াস (ধানের শীষ) ৮ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়েছেন। মোট ভোটারের সংখ্যা ৩০ হাজার ৯৬৫।
দুটি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ (নারকেলগাছ) ২১ ভোট ও নিশান সাবের পেয়েছেন ৩ ভোট। আগের ১৩ কেন্দ্রের সঙ্গে এ দুটি কেন্দ্রের ফলাফল যোগ করে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ২ হাজার ৬৫৩ ও নিশান সাবেরের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০।
এদিকে রিটনের বিজয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী সমর্থকদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। ইতোমধ্যে রিটনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
প্রসঙ্গত, গেল ২৫ এপ্রিল মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার। গতকাল সোমবার সকাল আটটা থেকে দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
তবে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে মেহেরপুর পৌর নির্বাচনে স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের ভোট বর্জন করেছে বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। দুপুরে কেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুণ।
জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, কেন্দ্রর প্রতিটি বুথে ক্ষমতাসীনদের উপস্থিতিতে জোর করে একটি একটি প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে ভোটারদের। প্রশাসনকে বার বার জানানোর পরেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অবাধ সুষ্টু নির্বাচন না হওয়ায় আমরা ভোট বর্জন করলাম।
মেহেরপুর নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকতা রোকুনুজ্জামন বলেন, এখনো আমার কাছে ভোট বর্জন বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। এমন আভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।