মেহেরপুর প্রতিনিধি: নিজের জিম্মায় থাকার মাত্র ২ সপ্তাহের বেবধানে মায়ের দায়ের করা মামলায় মেহেরপুর শহরের পন্ডেরঘাট পাড়ার রায়হানা সুলতানা সহ তার কথি প্রেমিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে রায়হানার মা মমতাজ পারভীনের দায়ের করা মামলায় আদালত হাজিরা দিতে গেলে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক মোঃ শাহীন রেজা আসামী মমতাজ বেগমের মেয়ে রায়হানা সুলতানা ২ নং আসামী তার কথিত প্রেমিক শহরের মন্ডল পাড়ার হামজার আলীর ছেলে সজিবুর রহমান জনিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলায় বাদী শহরের পন্ডেরঘাট পাড়ার জিয়ারুল ইসলামের স্ত্রী মমতাজ পারভীন এর আরজিতে জনান তার মেয়ে রায়হানা সুলতানার সাথে সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের টুঙ্গির মোসারফ হোসেনর ছেলে মনিউল ইসলাম রঞ্জুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ে জামায় ঘর সংসার করতে থাকে। এক পর্যায়ে সজিবুর রহমান জনি তার মামাতো ভাই এর পরিচয় দিয়ে মেয়ের বাড়ি যাতায়াত শুরু করে। পরে আমার মেয়ে ২ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে তার স্বামীকে বলে। স্ত্রীর দাবীর প্রেক্ষীতে তাকে ২লক্ষ টাকা প্রদান করে। পরে ঐ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে তার কথিত প্রেমিকের সাথে চলে যায়। এদিকে গত ২০ মে রায়হানা সুলতানা সুমিকে শহরের মন্ডল পাড়া থেকে উদ্ধার করার পর সে জানায় তার স্বামীকে তালাক দিয়েছে। পরে তাকে আদারতে নেওয়ার পর সুমি স্বাবালিকা বিধায় তাকে নিজ জিম্মায় দেওয়া হয়। পরে সুমি তার কথিত প্রেমিক সজিবুর রহমান জনির বাড়িতে অবস্থান গ্রহন করে। এেিদক তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার ৩ মাস অতিবাহিত না হওয়া সত্বেও তার সাথে অবস্থান করার কারণে এলাকায় নান ধরণের গুঞ্জণ শুরু হয়। এেিদক গতকাল সোমবার সুমির মায়ের দায়ের করা মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত ২ জনকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। মামলায় বাদী পক্ষে এ্যাড. মিয়াজান আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল এবং আসামী পক্ষে এ্যাড. মীনা পাল কৌশুলী ছিলেন।