নিউজ ডেস্ক:
অনেকেই মনে করেন, ফাউন্ডেশন যত কম লাগানো যায়, তত ভাল। কিন্তু সেটা ভুল ধারণা। সবচেয়ে নিখুঁত স্কিনটোনেও গোটা মুখের কিছু অংশে পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকতেই পারে। এই সমস্যা খুবই স্বাভাবিক। তার ঝটিকা সমাধান ফাউন্ডেশন। তবে প্রতিদিন খুব গাঢ় শেডের ফাউন্ডেশন না লাগানোই ভাল।
কেকি টেক্সচার হয়ে গেলে চেহারায় বয়সের ছাপ বোঝা যায়। তাই সারা দিনের জন্য বেরনোর থাকলে টিন্টেড ময়েশ্চারাইজার, বিবি বা সিসি ক্রিম অথবা কুশন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। আরেকটা মারাত্মক ভুল, ফাউন্ডেশনের ঠিক শেড না বাছা। গায়ের রঙের সঙ্গে রং মিলিয়ে ফাউন্ডেশন কেনাটা খুব জরুরি।
অতিরিক্ত কনসিলার
যাঁরা কনট্যুরিং করতে পছন্দ করেন, তাঁর কনসিলার শুধু দাগ-ছোপ লুকোতেই ব্যবহার করেন না। কনট্যুর করতে অনেকে বেশি পরিমাণে কনসিলার লাগিয়ে ফেলেন। যতই ভাল করে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে মিলিয়ে দিন, কয়েক ঘণ্টা পর পার্থক্যটা ফুটে উঠবেই। এতে চোখের তলার সূক্ষ্ণ দাগগুলো আরও পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে।
ব্লাশের ভুল ব্যবহার
গালের যে অংশটাকে অ্যাপ্ল বলে, ব্লাশ শুধু সেই অংশেই লাগানো উচিত। কিন্তু অনেকেই না জেনে আরও নীচের দিকে ব্লাশ লাগিয়ে ফেলেন। প্রায় পুরো গালেই। এতে চেহারা বিদ্ঘুটে তো লাগেই, বয়সও এক ঝটকায় অনেকটা যেন বেড়ে যায়। তাই সঠিক মেকআপ ব্রাশের সাহায্যে গালের ঠিক জায়গায় ব্লাশ লাগান। কোনও রকম বিভ্রান্তি থাকলে ইউটিউবে কোনও মেকআপ টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন। অনেক বিউটি ভ্লগাররাই (ভিডিও ব্লগার) এই ধরনের টিউটোরিয়াল করে থাকেন।
গ্রাফিক আইলাইনার
মোটা করে কাজল পরা বা আইলাইনারের সাহায্যে বেশ বড় করে চোখ আঁকা র্যাম্পের ‘হট’ মেকআপ ট্রেন্ড। কিন্তু কতটা মানাবে, তা না যাচাই করে গ্রাফিক আইলাইনার না পরাই ভাল। অনেকের চোখের আকার এমন হয়, যে বেশ মোটা করে আইলাইনার পরলে বয়স বেশি লাগে। তাঁদের সরু রেখা টানাই ভাল। শুধু চোখের নীচের পাতায় কাজল পরলেই হবে না। উপরের পাতার ভিতর দিকেও যদি কাজল পরতে পারেন, তাহলে চেহারা অনেক ঝকঝকে লাগবে।
ভুরুর দিকে নজর না দেওয়া
বয়সের সঙ্গে ভুরু পাতলা হয়ে আসে। সেগুলো ভাল করে গ্রুম করে আইব্রো পেনসিলের সাহায্যে এঁকে নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো চেহারায় তারুণ্যের ছাপ চোখে পড়বে না। তবে মনে রাখবেন, মানুষের দু’টো ভুরু দু’রকম হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই দু’টো ভুরু একই রকম আঁকা না হলে অযথা চিন্তা করবেন না।
ভুল রঙের লিপলাইনার
লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপকালার দিয়ে ঠোঁটের আউটলাইন এঁকে নিলে লিপস্টিক লাগাতে সুবিধে হয় আর ঠোঁটও বেশি ভরাট দেখায়। কিন্তু লিপকালারের চেয়ে লিপলাইনারের শেড যদি বেশি গাঢ় হয়ে যায়, তাহলে মুশকিল। এক নিমেষে বয়সটা অনেক বেড়ে যায়। তাই লিপকালারের সঙ্গে লাইনারের রং ভাল করে মিলিয়ে নিন। যদি একই রঙের লাইনার না পাওয়া যায়, তাহলে ঠোঁটের রঙের একটা লাইনার লাগাতে পারেন। তাতেও দিব্যি কাজ দেবে।