নিউজ ডেস্ক:
স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশের সঙ্গে বসবাস করছিলো স্বামী। মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ স্বামী সুবোধের বাড়ি থেকে স্ত্রী মনীষার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার করে।পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মনীষার দেহ কুচি কুচি করে কেটে ফেলেছিল সুবোধ। তার কাটা মাথা বাড়ির দেওয়ালে ঝোলানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে।
ভারতের পূর্ব দিল্লির মধুবিহারের এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুবোধ এবং মনীষার দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। মাঝেমধ্যেই সে মনীষা এবং দুই কন্যাসন্তানকে বেধড়ক মারধর করত। জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ঘটনার দিনও স্ত্রীকে বারবার আঘাত করেছিল সে। আর মারের চোটেই মৃত্যু হয় মনীষার। বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় তার চেষ্টাও করেছিল সে। মৃতদেহর সঙ্গেই বাস করছিল সে। কিন্তু এতেও বিশেষ লাভ হয়নি। দু’দিন মৃতদেহ ঘরের মধ্যে রেখে দেওয়ার পর, সেখান থেকে পচা গন্ধ বের হতে শুরু করে। এরপরেই স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন।
ঘটনার দু’দিন আগে সুবোধ তার দুই মেয়েকে আত্মীয়ের বাড়ি রেখে এসেছিল বলেও জানা গেছে। আর তাতেই মনে করা হচ্ছে খুনের বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত।
জেরায় সুবোধ স্বীকার করে নিয়েছে অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা। জানিয়েছে, ছ’মাস আগে মুনিয়া নামের এক নারীকে বিয়ে করে সে। আর মুনিয়ার সঙ্গে এই সম্পর্কের কথাই জানতে পেরেছিল মনীষা। আর এরপরেই বিবাহবিচ্ছেদ চান তিনি। কিন্তু এরপরই অশান্তি বাড়তে থাকে সুবোধ আর মনীষার। আর অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মনীষাকে হত্যা করে সুবোধ।