নিউজ ডেস্ক:
অভিবাসন এখনই শূন্যে নামালে ২০৫০ সালে ইউরোপের মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। অভিবাসনের উচ্চ হার অব্যাহত থাকলে মুসলিম জনসংখ্যা হবে ১৪ শতাংশের বেশি।
মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার অভিবাসনের বিভিন্ন হার বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা সম্পর্কে তিন ধরণের পূর্বাভাস দিয়েছে।
২০১৬ সালে সুইডেনের মুসলিমদের সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ৮ দশমিক ১ শতাংশ। কিন্তু অভিবাসনের উচ্চ হার যদি অব্যাহত থাকে সুইডেনে মুসলিমরা হবে মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এই গবেষণাটি চালায় মোট ৩০শটি দেশের ওপর। এর মধ্যে ২৮টি হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্রগুলি। অন্য দুটি দেশ হচ্ছে নরওয়ে এবং সুইজারল্যান্ড।
কোন দেশে কত মুসলিম:
২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী ইউরোপের এই ৩০টি দেশের মুসলিম জনসংখ্যা এই মূহুর্তে ২ কোটি ৫৭ লাখ। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। জনসংখ্যার অনুপাতে সবচেয়ে বেশি মুসলিম আছে ফ্রান্সে ( ৪৯ লাখ ৫০ হাজার)।
ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে মুসলিমরা হচ্ছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যায় আছে জার্মানিতে। সেখানে মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ১ শতাংশ মুসলিম (৫৭ লাখ ২০ হাজার)। ব্রিটেনে মুসলমানদের সংখ্যা ৪১ লাখ ৩০ হাজার। এছাড়া ইউরোপে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় এবং হারে মুসলিম আছে নেদারল্যান্ডস, ইতালি, স্পেন এবং সুইডেনে।
যেভাবে বাড়বে মুসলিম জনসংখ্যা:
ইউরোপে যদি অভিবাসন এখনই একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়, তারপরও ২০৫০ সাল নাগাদ ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে তিন কোটিতে। যা মোট জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মধ্যম হারে চলতে থাকলে ইউরোপে মুসলিমদের সংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ সাড়ে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে ব্রিটেনেই মুসলিমদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হবে, এক কোটি ৩০ লাখ।
উচ্চ হারে অভিবাসন অব্যাহত থাকলে ২০৫০ সালে ইউরোপে মুসলিমদের সংখ্যা হবে সাড়ে সাত কোটি। জার্মানি হবে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। জার্মানির মোট জনসংখ্যার প্রায় বিশ শতাংশ হবে মুসলিম। তাদের মোট সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখে।
সূত্র : বিবিসি