নিউজ ডেস্ক:
মুষলধারে বৃষ্টিতে সোমবারই চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। রাতে বৃষ্টি সামান্য কমলে পানি নামতে শুরু করে। কিন্তু মঙ্গলবার ফের মুষলধারে অতিবর্ষণ শুরু হয়। ফলে আবারো পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। অন্তহীন দুর্ভোগ সঙ্গী হয় নগরবাসীর। পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় ভোগান্তি। সমস্যায় পড়তে হয়েছে অফিস, কর্মস্থল ও স্কুলগামী- সকলকে।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর নিন্মাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস গত সোমবার বেলা ১২টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১২৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গত রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার বেলা ১২টা পর্যন্ত নগরীতে ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়। গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নগরীতে প্রায় ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তংচংগ্যা বলেন, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃতত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আবহাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করছে।
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) সুদীপ বসাক বলেন, নগরের নালা, ড্রেন ও খাল দিয়ে অতিবর্ষণের পানি প্রবাহিত হতে একটু সময় লাগে। ফলে অনেক নিন্মাঞ্চলে পানি জমে যাচ্ছে। তবে এসব নালা নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কারের কাজ বর্তমানে চলমান।
সোমবার দিনভর ও রাতের ভারী বর্ষণে নগরীর নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর সড়ক ও গলি উপগলিতে ব্যাপাক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণে নগরের বাকলিয়া, মুরাদপুর, চকবাজার, হালিশহর, ছোটপুল, বড়পুল, এক্সেস রোড, পোর্টকানেক্টিং রোড, দুই নম্বর গেইট, বহদ্দারহাট, বাকলিয়াসহ অধিকাংশ এলাকায় পানি জমে যায়। অনেকের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।