নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর চাহিদামত যৌতুক পান নি। তাই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এক স্বামী তার স্ত্রীর কিডনি বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আত্নগোপনে রয়েছে অভিযুক্ত স্বামী।
জানাযায়, ২০০৫ সালে লালগোলার বিশ্বজিৎ সরকারের সঙ্গে রীতা সরকারে বিয়ে হয়। রীতার অভিযোগ, বিয়ের সময় নগদ এবং গয়না দেওয়া হলেও আরো যৌতুকের দাবিতে তার উপর অত্যাচার করা হত। ৭ মাস আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় আলট্রাসোনোগ্রাফি টেস্ট করান রীতা। রিপোর্টে তিনি জানতে পারেন, তার একটা কিডনি নেই। এরপরই শুক্রবার স্বামীর বিরুদ্ধে কিডনি বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।
তার অভিযোগ, অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের নাম করে দুইবছর আগে তাকে কলকাতার নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলেন স্বামী বিশ্বজিৎ। তখনই তার কিডনি কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
ফরাক্কা পুলিশের কর্মকর্তা উদয়শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে এটাই উঠে এসেছে যে বিশ্বজিৎ চিকিৎসকদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রীতার একটি কিডনি বিক্রি করে দেন। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার হয়েছিল। আমরা সেই হাসপাতালটি সম্পর্কে তদন্তে নেমেছি। পাশাপাশি, বিশ্বজিৎ সরকারের সম্পর্কেও তদন্ত চলছে।’
রীতার স্বামী বিশ্বজিৎ অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো রীতার বাবা মহাদেব হালদারের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। তিনি বলেন, ‘শ্বশুর এ সব কথা সাজিয়ে আমার সব সম্পত্তি দখল করে নিতে চাইছে। আমরা কেন এ রকম করে রীতার কিডনি বিক্রি করব? রীতা স্বেচ্ছায় নিজের একটা কিডনি দান করেছে।
বিশ্বজিতের মা আরেক বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন রীতার বিরুদ্ধে।
‘বউমার স্বভাব মোটেও ভালো নয়। পাড়ায় এমন ছেলে নেই যার সঙ্গে ওর ভাব ছিল না! তাদের সঙ্গে হাসত, ঘুরত, ডেকে ডেকে মুখে সন্দেশ তুলে দিত। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলেই অশান্তি! চিৎকার করত, বেশ কয়েক বার গলায় দড়িও দিতে গিয়েছিল। তাই আমি আর ছেলের কাছে থাকতাম না’, জানিয়েছেন তিনি।