বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, সাংবাদিক মুন্নী সাহা তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে ১৩৪ কোটি টাকা জমা করেছেন। এর মধ্যে ১২০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময় উত্তোলন করা হয়েছে, এবং বর্তমানে স্থগিত হিসাবে ১৪ কোটি টাকা রয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন সংস্থার ব্যাংক হিসাবে এই অর্থ জমা হয়েছে। এছাড়া, গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তিনিকেতন এলাকায় তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির খোঁজ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওয়ান ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখায় ২০১৭ সালের ২ মে কবির হোসেন তাপসের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশন নামে একটি হিসাব খোলা হয়, যেখানে নমিনি হিসেবে মুন্নী সাহার নাম ছিল। এই হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঋণ নেওয়া হয়। ঋণটি সময়মতো পরিশোধ না করায়, বারবার সুদ মওকুফ এবং ঋণ নবায়ন করা হয়। ২০১৭ সালে সুদ মওকুফের পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।
এরপর ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর, তিনটি চেকের মাধ্যমে এমএস প্রমোশনের হিসাব থেকে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রাইম ট্রেডার্স নামে অন্য একটি হিসাবের দিকে স্থানান্তর করা হয়। বিএফআইইউ এই লেনদেনের তদন্ত করছে এবং অর্থ পাচারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এসব অর্থনৈতিক লেনদেন এবং ঋণ পুনর্গঠন ও সুদ মওকুফের পদ্ধতি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে এবং সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত চলছে।