নিউজ ডেস্ক:
ইরাকের বাগদাদে ফজলুল হক বুলবুল (৪০) নামে জামালপুরের এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না দেওয়ায় তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে তার পরিবার। নিহত ফজলুল হক বুলবুল জামালপুর সদরের রশীদপুর শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেক আকন্দের ছেলে।
রবিবার রাতে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নিহতের স্ত্রী জোসনা বেগম জানান, তার স্বামী (ফজলুল হক বুলবুল) ২০১৩ সালে স্থানীয় দালাল গিয়াস উদ্দীনের মাধ্যমে ইরাকে যান। ইরাকের বাগদাদে একটি দোকানে তিনি কাজ করতেন। গত ২৩ মার্চ দোকান থেকে বের হলে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণের পর তার পরিবারের কাছে ভিডিও কলের মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।
পরে পরিবারের লোকজন ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৬ হাজার এবং ইরাকে অবস্থানকারী বুলবুলের বন্ধুদের কাছ থেকে আরও দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় অপহরণকারীদের।
জোসনা আরও অভিযোগ করে বলেন, নির্যাতনে বুলবুল মারা গেছেন মনে করে অপহরণকারীরা তাকে রাস্তায় ফেলে রাখে। ইরাকের স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গত ২৭ মার্চ বাগদাদ সাহারা ফিলিস্তিন এলাকার সরকারি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে বুলবুল মারা যান।
বুলবুলের বড় ছেলে ইনছান জানান, ‘অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে জামালপুরের রশীদপুর ভাটিপাড়া গ্রামের রনি মিয়া, বাবর আলী, শামীম মিয়া, রামনগর গ্রামের জয়নাল আবেদীন ও আশেক আলী জড়িত রয়েছে। অপহরণের পর তারা বুলবুলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নগদ টাকা এবং জমি লিখে দেওয়ার কথা বলেছেন। ‘
বুলবুল হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বুলবুলের মরদেহ সরকারিভাবে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করেছে বুলবুলের পরিবার।