বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

মিয়ানমারে সংঘর্ষের জের ধরে নাফনদীর সীমান্ত জুড়ে প্রতিনিয়ত শত শত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা: ৫১ জন পুশব্যাক

হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ:   পাশ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের সরকারী বাহিনী ও রোহিঙ্গা বিছিন্নতাবাদী  সংগঠনের সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ চলছে। এবং সরকারী বাহিনী কর্তৃক মুসলিম পরিবারের বাড়ি-ঘর জালিয়ে জুলুম-নির্যাতন করার সুত্রপাতে প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট শুক্রবার ভোররাতে  মিয়ানমারের ২৪টি পুলিশ পোস্টে বিছিন্নতাবাদীরা হামলা করে। হামলা হওয়ার পর থেকে শুরু হয় মংডু আকিয়া বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা। এর জের ধরে প্রাণের বয়ে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন এলাকার দিয়ে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে শত শত রোহিঙ্গা। এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে টেকনাফ ২ বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। সেই ধারাবাহিকতায় ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে হোয়াইক্যং হ্নীলা ও শাহপরীর দ্বীপ নাফনদীর পয়েন্ট হয়ে অনুপ্রবেশের সময় সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা ৫১ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করে। পরে মানবিক দিক বিবেচনা করে দুপুরে তাদেরকে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হয়। এবং গত ২৮ আগষ্ট বিকেলেও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাং পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ৪৭৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের আটক করে পরে সন্ধ্যার দিকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে বিভিন্ন সুত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, উখিয়া-টেকনাফ মিয়ানমার সীমান্তে বিভিন্ন এলাকার পাহাড়, জঙ্গল, ঝাউবাগান ও উপকুলীয় কেওড়াবাগান গুলোতে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার জন্য প্রতিনিয়ত শত শত রোহিঙ্গা অপেক্ষায় করে থাকে। সেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি  ও কোস্টগার্ড সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, সীমান্ত অতিক্রম করে রাতের আধারে বেশ কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশংকা থাকে। তবে সেই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সদস্যদের টহল ব্ড়াানো হয়েছে। তার পাশাপাশি সর্তক অবস্থানে রয়েছে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সংস্থার সদস্যরাও।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular