নিউজ ডেস্ক:
পড়াশোনায় মনোযোগ না দিয়ে সারাক্ষণ ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে মুখ গুজে থাকায় বাবা-মায়ের বকুনি খেয়েছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মনসাবাড়ির নতুনগ্রামে মাম্পি দাস (১৮)। কিন্তু সেটা মানতে না পেরে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মনসাবাড়ির নতুনগ্রামে গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মাম্পি হাবরারই কামিনিকুমার গার্লস স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। তার বাবা বিকাশ দাস জানান, ইদানীং একেবারেই পড়াশোনায় মন ছিল না মাম্পির। সব সময় ফেসবুক এবং হোয়াট্সঅ্যাপেই পড়ে থাকত। এ নিয়ে দিনরাত তাকে বকাবকিও করতেন তারা।
মাম্পির ভাবি হাবরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শুক্রবার রাতে হাসপাতাল থেকে তার ছুটি হলে মাম্পির বাবা-মা ‘বৌমা’কে আনতে যান। আর মাম্পির ভাই বাড়ির পাশে নিজের কারখানায় কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই রাতে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ওই একই কারণে মাম্পিকে বকাবকি করেন তার বাবা-মা।
মাম্পি অবশ্য চুপচাপই ছিল। এই বকাবকির প্রত্যুত্তরে কিছু বলেনি। রাতে বাড়ি ফিরে মাম্পির ঘরে দিকে যেতেই হতভম্ব হয়ে পড়েন তার বাবা-মা। ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মাম্পির দেহ সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছিল। তৎক্ষণাৎ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাচানো যায়নি।
মাম্পির স্কুলের বন্ধুরা জানিয়েছে, একটি বা দু’টি নয়, একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল তার। শুধুমাত্র বকাবকি করাতেই এমন কাণ্ড সে ঘটাল না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।