নিউজ ডেস্ক:
যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় পতাকা উত্তোলন, ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাইকমিশনার মো. শহীদুল ইসলাম।
এরপর হাইকমিশনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, চাঁদপুর জেলা সমিতি, মামা সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কমিউনিটি সংগঠনসহ নানা পেশাজীবী প্রবাসী বাঙ্গালীরা।
দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলার মো. সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় একুশের আলোচনার শুরুতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, একুশে ভাষার আন্দোলন হলেও প্রকৃত আন্দোলন হলো শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির সম্মিলিত প্রতিবাদ। সেদিন আত্মঅধিকার, সমতাভিত্তিক সমাজ আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রবিনির্মাণের স্বপ্নে জেগে উঠেছিল তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। একুশেতেই ঘটে বাঙালরি আত্মবিকাশ। যার ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।
তিনি বলেন, হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে এসেছে অমৃত স্বাধীনতা। একুশ বাঙালির চেতনার প্রতীক। মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে সারা দেশে অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং বিদেশে যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই গড়ে উঠেছে আমাদের অহঙ্কারের প্রতীক শহীদ মিনার। একুশে তাই আত্মত্যাগের অহঙ্কারে ভাস্বর মহান একটি দিন। জেগে উঠার প্রেরণা। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে আত্মোৎসর্গ করার শপথ গ্রহণের দিন আজ।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মশিউর রহমান তালুকদার, শ্রম শাখার প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, ২য় সচিব তাহমিনা ইয়াছমিন, সুবহান মন্ডলসহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও হাইকমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।