মার্কিন নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প। এবার ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান ম্যাট গেটজ তার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এই ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প ম্যাটের আইনজীবী হিসেবে অভিজ্ঞতা এবং হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে তার ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, “ম্যাট সীমান্ত রক্ষা করবে এবং ন্যায়বিচারের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার করবে।”
ম্যাট গেটস, ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই মনোনয়নকে “গৌরবময় দায়িত্ব” বলে অভিহিত করেছেন।
ম্যাট গেটসের মনোনয়ন অবশ্যই বিতর্কের সম্মুখীন হতে পারে। অ্যাটর্নি জেনারেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে মনোনীত হওয়ার জন্য তাকে সিনেটের নিশ্চিতকরণের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে, যেখানে বিভিন্ন পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতার সম্ভাবনা রয়েছে।
২০২৩ সালে গেটস একটি বিতর্কের জন্ম দেন। সেই সময়ে তিনি তৎকালীন হাউজ স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থিকে পদচ্যুত করতে একটি প্রচারণার নেতৃত্ব দেন, যা রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে। এ নিয়ে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান প্রতিনিধি কার্লোস গিমেনেজ বলেন, “গেটসের নিজ রাজ্যেও তার কয়েকজন সমর্থক আছেন, তবে আমি তাদের মধ্যে একজন নই।”
ট্রাম্পের অগ্রাধিকার:
আইনি বিতর্ক:
গেটসকে এই পদে বসানোতে ট্রাম্পের সমালোচকরা মনে করছেন, এতে ব্যক্তিগত আনুগত্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ম্যাট গেটস নিজেও বিচার বিভাগের তদন্তের মুখে পড়েছিলেন। সম্প্রতি, মার্কিন বিচার বিভাগ গেটসের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন,এ মনোনয়ন দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রতি ব্যক্তিগত আনুগত্য এক বড় বৈশিষ্ট্য হতে পারে।