নিউজ ডেস্ক:
রান্নাঘর থেকে তেজপাতার গন্ধ ভেসে আসা মানেই সুস্বাদু খাবারের ইঙ্গিত। ফোড়নের ঝাঁজ আর তেজপাতার গন্ধই যেন জানান দেয় জোরালো মেনুর ইঙ্গিত। তবে স্রেফ রান্নায় স্বাদ বাড়ানোই নয়। তেজপাতার কিন্তু আরও গুণ আছে।
রান্নার মশলা হিসেবে তেজপাতা অপরিচিত নয়। কিন্তু তার অন্যান্য গুণের কদর অনেকেই জানেন না। তাই হাতের সামনে থাকলেও হয়তো সঠিকভাবে একে কাজে লাগানো হয় না। ভারতে অবশ্য অ্যারোমা থেরাপির ব্যবহার নতুন নয়। শব্দটি নিতান্ত আধুনিক হলেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ বহু প্রাচীন। মানসিক অস্থিরতা কাটাতে এবং টেনশন হটাতে সুগন্ধীর ব্যবহার আগেও করা হত। এখনও করা হয়। আজও বিভিন্ন যোগ সেন্টারে বা হোটেলের লবিতে এই সুগন্ধীর ব্যবহার দেখা যায়। ভেষজের এই গন্ধ স্রেফ ঘরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য নয়। বরং এই গন্ধ মানসিক অস্থিরতা কমিয়ে স্নায়ুকে প্রশান্তি দিতেই ব্যবহার করা হয়।
ঠিক এখানেই গুরুত্বপূর্ণ তেজাপাতা। এমনিতেই রান্নার সময়ই তেজপাতার গন্ধে প্রত্যেকেরই ভাল লাগে। তার কারণ তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ আমাদের স্নায়ুকে চাঙ্গা করে। তাই ক্লান্তিবোধ আমাদের পেড়ে ফেললে অল্প কিছু তেজপাতা পুড়িয়ে নিলেই কেল্লা ফতে।
শুধু তাই নয় এতে যন্ত্রণাবোধ এমনকী ভাইরাস জনিত সংক্রমণও পিছু হটে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মানসিক স্বাস্থ্যও চাঙ্গা রাখে। আসলে তেজপাতার মধ্যে থাকে লিনালুল(C10H18O)। এর কারণেই তেজপাতার এই সুগন্ধ। এই যৌগই উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক অস্থিরতাও কমায়।
এছাড়া অন্যান্য যৌগের কারণেই নিঃশ্বাসের সমস্যা কমায়। বিশেষত যাঁরা অ্যালির্জিতে ভোগেন বা চট করে যাঁদের ঠাণ্ডা লেগে যায় তাঁদের জন্যও তেজ পাতা পোড়ানোর এই গন্ধ খুবই উপকারী।
অ্যারোমা থেরাপির জন্য নামী দামী অনেক উপকরণই বাজারে মেলে। বহমূল্যের সে সব জিনিসকে খাটো না করেই বলা যায়, ঘরে পড়ে থাকা তেজপাতা যে উপকারে লাগতে পারে, তার তুলনা মেলা ভার।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন