নিউজ ডেস্ক:
শুধু তাই নয়, রিয়ার সঙ্গে মাদক চক্রের যোগাযোগ নিয়ে যে তথ্য প্রমাণ হাতে এসেছে, তা ‘সিবিআই’ এবং নারকোটিক্স ব্যুরো কন্ট্রোলকে জানানো হয়েছে বলে দাবী করা হয় ইডি অফিসের পক্ষ থেকে।
মাদকের বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটস অ্যাপের কথপোকথন। যেখানে জয়া নামের এক মহিলার সঙ্গে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে রিয়ার কথপোকথন ফাঁস করা হয়।
সেখানে দেখা যায়, জয়া হোয়াটসঅ্যাপে রিয়াকে লিখেছেন, চার ফোঁটা পানিতে বা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে দাও… ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যেই ও মাতাল হয়ে যাবে। এর উত্তরে রিয়া লেখেন, ধন্যবাদ। জয়ার উত্তর আসে, আশা করি এটা কাজ দেবে।
রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগকারী এই জয়া কে? জানা যায়, একটি ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় কাজ করেন জয়া। যার ফলে অনেক বলিউড স্টারের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে তার৷ জয়া ও রিয়ার মধ্যেও রয়েছে গভীর বন্ধুত্ব। অভিযোগ উঠেছে, রিয়াকে মাদক সরবরাহ করতেন এই জয়া।
এদিকে, তদন্তে যে বিষয়টি সবার নজরে এসেছে তা হল, জয়া এবং রিয়া ১০০ বার ফোনে কথা বলেছেন, যার মধ্যে ২৯টি কল জয়া করেছিলেন এবং বাকি কলগুলি করেছিলেন রিয়া। এমন কি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পরে জয়াকেই প্রথম ফোন করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। দেখা গেছে, সুশান্তের মৃত্যুর খবর আসে দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে, কিন্তু ২টা ৩৩ মিনিটেই রিয়া ও জয়ার মধ্যে কথা হয়।
অন্যদিকে, মাদক চক্রের সঙ্গে রিয়া চক্রবর্তীর যোগাযোগের বিষয়টি পুরোপুরি বানোয়াট বলে মন্তব্য করেছেন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তিনি বলেন, ‘রিয়া জীবনে কখনো কোনো মাদক সেবন করেননি। এমন কি প্রয়োজনে রিয়া রক্ত পরীক্ষা করিয়ে প্রমাণ দিতে প্রস্তুত বলেও জানান এই আইনজীবী।
তবে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে মাদক চক্রের যোগাযোগের বিষয়টি সামনে আসার পর ‘নারকোটিক্স ডিপার্টমেন্ট’ ও ‘সিবিআই’ একসঙ্গে তদন্ত করবে। রিয়ার বিরুদ্ধে এতদিন শুধু সুশান্তের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। এবার মাদকের ব্যাপারেও নাম জড়িয়ে গেল।