দামুড়হুদা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ১০টি বাঁধ অপসারণ ও ৭২টি ম্যাজিক জাল উদ্ধার করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তুপুর, রঘুনাথপুর, সুবুলপুর, গোবিন্দপুর গলায়দড়ি, জিরাটসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণ করে মাছ ধরার জাল জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এইচ তাসফিকুর রহমান। অভিযানে সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহলদার, উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দীন ও দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই অপরূপ।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকায় ‘দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা ও ভৈরব নদে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার, নব্যতা হারাচ্ছে নদী, বিলুপ্ত দেশীয় মাছ’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান ও দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসার ফারুক মহালদাকে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এইচ তাসফিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাথাভাঙ্গা নদে অবৈধভাবে আড়াআড়ি বাঁধ ও চায়না ম্যাজিক জাল অপসারণ করেন। পরর্বতীতে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
কে এইচ তাসফিকুর রহমান অভিযান শেষে সাংবাদিকদের জানান, ‘আপনারা জানেন দামুড়হুদা উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী মাথাভাঙ্গা। এখানে কিছু অসাধু ব্যক্তি বাঁশের আড়াআড়িভাবে বাঁধ দিয়ে রেখেছিল। আমরা অভিযান চালিয়ে চায়না ম্যাজিক জাল ও বাঁধ অপসারণ করেছি। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরবর্তীতে এই কর্মকাণ্ডের সাথে কেউ জড়িত থাকলে কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।