মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম এবং সাবেক সাংসদ জাহিদ আহম্মেদ টুলুসহ ১০৯ জনের নামে সিঙ্গাইর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এক যুগ পর গত শুক্রবার(২৬ অক্টোবর) নিহত নাজিম উদ্দিন মোল্লার পিতা মজনু মোল্লা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় অজ্ঞাত আসা্মি করা হয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে।
মামলায় আওয়ামী লীগের অন্য প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বলধরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান, সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ,সাবেক পৌর মেয়র মীর মো. শাহজাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার, সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সালাম খানসহ ১০৯ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন গণজাগরণ মঞ্চ থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা:) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাইর পৌরসভার গোবিন্ধল থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। এদিন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা রিভলবার, চাইনিজ পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়।
এক পর্যায় মুসল্লিদের লক্ষ্য করে আসামিরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে গোবিন্ধল গ্রামের নাজিম উদ্দীন,মাওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, ও শাহ আলম নিহত হন। এতে আহত হন আরও অর্ধশতাধিক মুসল্লি।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশ বাদী হয়ে গ্রামবাসী ও স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করে।সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১০৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত ৯ অক্টোবর একই ঘটনায় গোবিন্দল গ্রামের মৃত ইউসুব আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৫০) আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায়ও আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে আসামি করা হয়।