নিউজ ডেস্ক:
প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে নিরিবিলি সময় পাওয়া যে সহজ নয়! চারদিকে সারা ক্ষণ হইচই, আশপাশটাকে মানিয়ে চলার চাপ সর্বত্র। একমাত্র বাড়ির ভিতরটাকেই করে তোলা যায় নিজের মতো। কিছুটা সময় যাতে হয় একেবারে নিজের, শান্তির, চুপচাপ। যেখানে কারও সঙ্গেই করতে হবে না আপস।
এক সময়ে একা সিনেমা দেখা, একা ফুচকা খাওয়া বা একা একা ছুটি কাটাতে শহরের বাইরে যাওয়া এ শহরের মানুষদের কাছে ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর। এখন তা হয়েছে ফ্যাশন। ‘সেলফি ডেট’-এ যাওয়া অভ্যাস করে ফেলেছে বাঙালি। সেজেগুজে একাই বেড়াতে যাচ্ছেন, কফিশপে সময় কাটাচ্ছেন। সমীক্ষা বলছে, ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে শহুরে জীবনে একাকিত্ব যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে একা সময়কে উদ্যাপন করার প্রবণতাও। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এতে আরও বেশি আত্মকেন্দ্রিক হচ্ছে চারপাশটা। তবে কেউ কেউ এই প্রবণতাকেই স্বাগত জানাচ্ছেন।
এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ বলেন, একা অনেকটা সময় এমনিতেই থাকতে হবে। তবে তা আনন্দে কাটানোই তো ভালো। একা থাকাকে বাধ্যতা মনে করলে মনের অসুখ হয়।
মনোরোগের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় সমাজদার আবার মনে করিয়ে দেন, একা থাকার সঙ্গে সব সময়ে একাকিত্ব যুক্তই নয়। কেউ অনেকের মধ্যে থেকেও একাকিত্বে আক্রান্ত হতে পারেন, কেউ বা বছর বছর একা থেকেও আনন্দেই দিন কাটাতে পারেন। মনের জোর থাকলে অনেকেই একা ভালো ভাবে থাকেন।