নিউজ ডেস্ক:
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মধ্যবর্তী বা আগাম নির্বাচনের কোন পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের নেই। নির্বাচন নিয়মমাফিক যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। সেটি নির্বাচন কমিশনই আয়োজন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি- একমাস পর নির্বাচন হলেও আমরা প্রস্তুত। আগাম নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই, পরিকল্পনাও নেই। এটা শুধু তাই নয়, একমাস, তিনমাস ছয়মাস যখনই নির্বাচন হয়, তখনই আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত আছি। তবে আমরা চাই বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন হোক। কিন্তু তারিখ নির্ধারণের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।’
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছি। এরই মধ্যে আমরা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রার্থীর খসড়া তালিকা তৈরি করে ফেলেছি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) যখনই নির্বাচন দেবে, আমরা তখনই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা দুই মামলার বিষয়ে ওবায়দুল বলেন, খালেদা জিয়ার নামে যে মামলা চলছে তা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। এই মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই মামলায় তার সাজা হলে সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করেছে, বলা হবে। আর সাজা না হলে বিচার বিভাগ স্বাধীন এভাবেই সংজ্ঞা দিয়ে থাকে তারা।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বলছে একটা লোক মারা যাওয়ার পরপরই নির্বাচন করছে সরকার। নির্বাচন তো হতে হবে। তারা (বিএনপি) হয়তো প্রস্তুত নয়। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তারা আসেনি, নির্বাচন তো থেমে থাকেনি, থাকবেও না।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ীই হবে। এ নিয়ে কারও পক্ষে-বিপক্ষে কাজ করার কিছু নেই। মেয়র পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচন আইন আছে। কমিশন সে আইন অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করবে। এর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
ডিএনসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা চমকের কথা ভাবছি না। আমরা উইনিবল (জয় হওয়ার যোগ্য) প্রার্থীর কথা ভাবছি। এর মধ্যে রাজনৈতিক নেতা ও আওয়ামী মনোভাবাসম্পন্ন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক কিন্তু নেতা নয়-এমন কয়েকজনকে নিয়েও আমরা চিন্তা করছি। চূড়ান্ত না হলে কিছু বলা যাবে না।
মঙ্গলবার বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গাড়ী ভাংচুরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ঘটনায় আমরা সন্দিহান যে বিএনপি আবারও সেই সহিংসতার পথ বেছে নিল কিনা। আমার মনে হয় তারা আবারও জ্বালাও, পোড়াও ও সহিংসতার পথ বেছে নিতে চায়। তা না হলে সাধারণ মানুষের গাড়ি তারা পোড়াবে কেন। তাদের কী অপরাধ? তারা আন্দোলন করতে পারছে না, তারা আন্দোলনে ব্যর্থ। তাই হয়তো সহিংসতার পথ বেছে নিচ্ছে।