নিউজ ডেস্ক:
আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে কম সংখ্যক হজযাত্রী মাস্ক পরে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বুধবার পবিত্র কাবা তওয়াফের মাধ্যমে হজ পালন শুরু করেছেন। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে সৌদি আরব এ বছর এই সীমিত আকারে হজ কার্যক্রমের আয়োজন করে।
হজ ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের একটি এবং হজ ফরজ হয়েছে এমন সক্ষম ব্যক্তিকে অবশ্যই জীবনে একবার হজ পালন করতে হবে। এ বছর সৌদি কর্তৃপক্ষ ১০ হাজার লোককে হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে। ২০১৯ সালে হজ পালনে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ২৫ লাখ লোক সমবেত হয়েছিল। হাজীরা বুধবার মসজিদুল হারামে কালো গিলাফে ঢাকা পবিত্র কাবায় প্রথম তওয়াফের মাধ্যমে হজ কার্যক্রম পালন শুরু করেন। পরে হাজীরা মিনায় যান এবং রাত্রিযাপন করেন। বৃহস্পতিবার হাজীগণ আরাফাতের ময়দানে সমবেত হচ্ছেন।
হাজীদের আরাফাতে উপস্থিত থাকতে হয়, এটি হজের অন্যতম প্রধান শর্ত। এখানে হাজীগণ পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, দোয়া মোনাজাতে শরীক হয়ে গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর ক্ষমা ও আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ কড়া বিধিনিষেধ অনুসরণ করছে, সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বলেছে, বুধবার মক্কা অঞ্চলে ১২২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সৌদি কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল তারা দেশের ১ হাজার লোককে এ বছর হজ পালনের অনুমোদন দেবে, তবে স্থানীয় মিডিয়া জানায় ১০ হাজারের বেশী লোক হজ পালন করবে। এদের ৭০ শতাংশ সৌদি আরবে বসবাসকারী বিদেশী নাগরিক এবং বাকিরা সৌদি নাগরিক।
সৌদি আরবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং এতে ২ হাজার ৮ শ’র বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে।