নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন সরকার ভেনিজুয়েলায় সামরিক আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রদূত জোরগে ভ্যালেরো। ল্যাতিন আমেরিকার এ দেশটির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জের ধরে ওয়াশিংটন ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর এ বক্তব্য দিলেন ভ্যালেরো।ওই নিষেধাজ্ঞাকে ভেনিজুয়েলা সরকারের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের উদ্যোগে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক এক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভ্যালেরো এ মন্তব্য করেন। ভেনিজুয়েলা সরকারের করণীয় ঠিক করে দেয়ার অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আছে কিনা সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।ভ্যালেরোর এ বক্তব্যের কয়েক মিনিট আগে চীনে নিযুক্ত মার্কিন উপ রাষ্ট্রদূত সিনথিয়া প্লাথ বলেছিলেন, ভেনিজুয়েলার দুঃখজনক রাজনৈতিক পরিণতির জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ওয়াশিংটন।এ ছাড়া, মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম রোববার এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য প্রকাশ করে দেন যে, ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে ‘সামরিক ব্যবস্থা’ নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গ্রাহাম বলেন, কিন্তু তিনি এ কাজ থেকে ট্রাম্পকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।গত বছরের মে মাসে ভেনিজুয়েলায় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাদুরো। চলতি মাসের শুরুতে শপথ নেন বামপন্থি এ রাজনীতিক। তবে বিরোধীরা প্রথম থেকেই কারচুপির অভিযোগ তুলে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। তেলসমৃদ্ধ দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেয়ার জন্য বিরোধীদের এ দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে আমেরিকাসহ বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ।