নিউজ ডেস্ক:
ভূমিকম্প! শব্দটাকে ভয়াবহতার প্রতিশব্দ বললেও অত্যূক্তি করা হবে না। এক মুহূর্তে কম্পিত হতে থাকে ভূ-উপরিভাগ। আর এর ভয়াবহতা এতই প্রকট যে বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্প পাল্টে দিতে পারে একটা দেশের মানচিত্র। বদলে দিতে পারে নদীর গতিপথ। ধ্বংস করে দিতে পারে সভ্যতা, সুউচ্চ পাহাড়। আর প্রাণহানির কথা নাই বা বলা হলো।
তবে সম্প্রতি ভূমিকম্পের এক বিস্ময়কর দক্ষতার কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্পের ফলে কীভাবে ভূগর্ভে খনিজ পদার্থের সৃষ্টি হয়। তারা জানান, ভূমিকম্পের ফলে ভূগর্ভস্থ তরল পদার্থগুলো খণ্ডিত হয়ে ক্ষুদ্র কণায় পরিণত হয়ে মূল্যবান সম্পদে রূপান্তরিত হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ কুইন্সল্যান্ডের ভূপদার্থ বিজ্ঞানের গবেষক ডিওন ওয়েদারলি এই গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি জানান ভূগর্ভস্থ তাপ ও চাপের ফলে তরল পদার্থগুলো পৃথক পৃথক কণায় রূপান্তরিত হয়। সৃষ্টি হয় নতুন নতুন পদার্থ। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে পানির সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও সিলিকা মিশে থাকে থাকে।
যখন ভূকম্পন হয়, তখন প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে ভেঙ্গে যায় সেখানকার পানির কণাগুলো। এতে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান খনিজ পদার্থের সৃষ্টি হয়। তখন অন্যান্য খনিজ পদার্থের মতো স্বর্ণের উপাদানগুলো সেখানে বালি ও কাদা মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এভাবে স্বর্ণ-রৌপ্যের খনিও সৃষ্টি হতে পারে।