জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকেঃ ঝিনাইদহের মহারাজপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের পুকুর থেকে ভিজিএফ কর্মসুচির চাল উদ্ধারের ঘটনায় বুধবার মামলা হয়েছে। চাল ব্যাবসায়ী আজিজুল ইসলাম শাহকে আসামী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন ঝিনাইদহ পিআইও অফিসের কার্য-সহকারী জাহিদ হাসান। আজিজুল শাহ হরিপুর গ্রামের কওছার আলীর ছেলে। তিনি এ ঘটনার পর থেকেই কালীগঞ্জে শহরের একজনপ্রতিনিধির বাড়িতে পালিয়ে রয়েছে। আজিজুল শাহর ফাঁস হওয়া এক অডিও রেকর্ড থেকে জানা গেছে, সবুজের মাধ্যমে মহারাজপুর ইউনয়নের ৫২ বস্তা ও সাইফুলের মাধ্যমে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ভিজিএফ’র চাল কেনেন। চাল কেনার পর হাসান ও বাবু মোবাইলে তাকে জানান প্রশাসন খুব তৎপর। ডিবি পুলিশ অভিযান চালাতে পারে। এই ভয়ে আজিজুল শাহ নিজ গোডাউন থেকে চাল রাতের আঁধারে বাড়ি নিয়ে দুইটি পুকুরে ফেলে দেন। ৩/৪দিন পর চাল পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি ইসলামের উপস্থিতিতে জনতা পুকুর চাল উদ্ধার করে। এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি ইসলাম জানান, সদরের দোগাছি ইউনিয়নের কলমনখালী বাজার থেকে ১০২ বস্তা ভিজিএফ কর্মসুচির চাল উদ্ধারের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় মধুনাথপুর গ্রামের মিঠু জোয়ারদার, কলমনখালী গ্রামের শরিফুল ইসলাম ও পন্ডিতপুর গ্রামের বিপুলকে আসামী করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধরায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউএনও শাম্মি ইসলাম জানান, দরিদ্রদের ভিজিএফ কর্মসুচির চাল এ ভাবে বিক্রি করে কেও পার পাবে না। এখন থেকে যারাই করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে।