নিউজ ডেস্ক:
ভারত-চীন সম্পর্ক এখন ডোকলাম সীমান্ত ইস্যুতে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে দু’দেশের সেনাবাহিনী। এমন অবস্থায় অনেকেই সংঘাতের আশঙ্কা করলেও তা নাকচ করে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ভারত। সম্প্রতি এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে জানান, আমাদের কূটনৈতিক মাধ্যম খোলা রয়েছে। দু’দেশেই একে অপরের দূতাবাস রয়েছে। ওই মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বাগলে মনে করিয়ে দেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত ও চীনের সংগঠিত ও পারস্পরিক সম্মত পন্থা রয়েছে। এছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, হামবুর্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এর মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকের উল্লেখ করে বাগলে বলেন, হামবুর্গে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে। যদিও, ডোকালাম প্রসঙ্গে দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছে কি না সেই নিয়ে খোলসা করেননি বাগলে। যদিও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছে চীন।
তবে ভারত-চীন সীমান্তে অশান্তির মাঝেই যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়ে তিব্বতে সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছে চীন। প্রচুর যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে তিব্বতে লাইভ-ফায়ার এক্সারসাইজ করল চীনা সেনারা। চীনের সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের তিব্বতে এই মহড়া হয়েছে। তবে ঠিক কবে বা কখন এই মহড়া হয়েছে, তা জানা যায়নি। শুধু একটি ফুটেজ দেখিয়ে বলা হয়েছে, চীনা আর্মির তিব্বত মিলিটারি কমান্ড এই মহড়া চালিয়েছে। এটি চীনের অন্যতম মাউন্টেন ব্রিগেড। এই তিব্বত কমান্ডই ভারত-চীন সীমান্ত বা লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের (LAC) দায়িত্বে রয়েছে।
জানা যায়, চীনের সেনা মহড়ায় ছিল দেশটির তৈরি লাইট ব্যাটল ট্যাংকসহ অনেক অত্যাধুনিক অস্ত্র। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে অশান্তি চলছে চীনের। বারবার ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিয়েও আসছে বেইজিং। চীনা আর্মি ভারতে ঢুকে রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দিয়েছে বলেও একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে।