বাংলাদেশের ব্যাটাররা রানতাড়া করতে নেমে কোনো পর্যায়েই ভারতের বোলিং লাইনআপের ওপর সে অর্থে চাপ ফেলতে পারেননি। পাওয়ারপ্লেতে ভারতের ৫৩ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ করেছে মোটে ৪২। পরের চার ওভারে নাজমুল শান্ত এবং তানজিদ তামিম ব্যাট করেছেন ৬.২৫ রানরেটে। এরইমাঝে অবশ্য উইকেটের পতনটাও দেখতে হয়েছে। কুলদীপ যাদব ফিরিয়েছেন জুনিয়র তামিম আর তাওহিদ হৃদয়কে।
প্রথম বলে ছক্কা। শেষ বলে গিয়ে চার। জাদেজার করা ১৩তম ওভার ছিল এমন। পরের ওভারে কুলদীপ করতে এলেন তার শেষটি। দ্বিতীয় বলে দারুণ টাইমিংয়ে সোজা বরাবর ছক্কা মারার পর আবার তুলে মারতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারান সাকিব। কাভারে রোহিত নেন সহজ ক্যাচ। সাকিবের হতাশা ছিল স্পষ্ট। কুলদীপ বোলিং শেষ করেছেন ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে। ১৪তম ওভারের শেষ বলে গিয়ে ১০০ ছোঁয় বাংলাদেশ।
বেশ কিছুক্ষণ ধরেই বাংলাদেশের ব্যাটিং হয়ে দাঁড়ায় পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর। ৩টি ছক্কা মেরেছেন, সঙ্গে ১টি চার। ৪০ রানের ইনিংসে নাজমুলের স্ট্রাইক রেট ১২৫। সেটি শেষ হয়েছে বুমরাকে তুলে মারতে গিয়ে। বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
পরের ওভারের প্রথম বলে অর্শদীপকে তুলে মেরেছিলেন জাকের আলী। স্লোয়ার বল বোঝেননি, শটে নিয়ন্ত্রণও ছিল না। ষষ্ঠ উইকেটও হারায় বাংলাদেশ। ১০ বলে ২৪ করে আউট হন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে আরশদীপ সিংয়ের বলে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। ১৫ বল খেলে তিনি করেন ১৩ রান। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হার্দিক পান্ডিয়া।
এর আগে চার-ছয়ের পসরা সাজিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯৭ রানের বিশাল এক টার্গেট দাঁড় করায় ভারত। কখনো রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলি, কখনো রিশাভ পান্ত, কখনোবা শিভাম দুবে। টাইগারদের ওপর চড়াও হতে ছাড়েননি কোনো ব্যাটারই। ২০ ওভারে তারা আদায় করেছেন ১৩ ছক্কা এবং ১২ চার। তাতেই নির্ধারিত ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯৬ রান।