নিউজ ডেস্ক:
কেনিংটন ওভালে ভারতকে গুড়িয়ে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা ঘরে তুলল সরফরাজ বাহিনী। কোহলিদের ১৮০ রানের বিশাল ব্যাবধানে হারিয়েছে তারা। পাকিস্তানের কাছে কোনও পাত্তাই পায়নি ভারত।
মোহাম্মাদ আমিরের বোলিং তোপে রীতিমতো নাকাল হয়েছে ভারতের টপ অর্ডার। একে একে তিন জাদরেল ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছেন এ বোলার। রোহিত শর্মা (০), বিরাট কোহলি (৫) ও শিখর ধাওয়ান (২১)। ১/১, ৬/২ ও ৩৩/৩ এই হচ্ছে ভারতের উইকেট পতনের ধারাবাহিকতা আমিরের বলে।
এর পর শাদাব খান ও হাসান আলী আঘাত হেনেছেন ভারতের মিডল অর্ডারে। যুবরাজকে এলবি ডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আউট করেন শাদাব । যদিও আম্পায়ার প্রথম আউট দেননি। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সাথে শাদাব রিভিউ নেন। এবং সফলও হন।
পরের ওভারে মাহন্দ্রে সিং ধোনিকে ফেরান ফর্মের তুঙ্গে থাকা হাসান আলী। এরই সাথে সাথে ৫৪ রানে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে ভারতের। তবে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৩ বলে ৬ ছক্কা ও ৪টি চারে ৭৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন এ ব্যাটসম্যান।
তবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানে ঠেকে ভারতের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ আমির ও হাসান আলী ৩টি, শাদাব খান ২টি করে উইকেট নেন।
এর আগে দিনের শুরুতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে কেনিংটন ওভালে ভারতকে ৩৩৯ রানের বড় টার্গেট দেয় পাকিস্তান। ওপেনার ফখর জামানের সেঞ্চুরি, আজহার আলীও মোহাম্মদ হাফিজের হাফসেঞ্চুরি এবং বাবর আজমের ৪৬ রানের ওপর ভর করে এ সংগ্রহ দাঁড় করায় পাকিস্তান।
শিরোপা জয়ের এই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার আজহার আলী ও ফখর জামান। ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এ দুটি ব্যাটসম্যান।
এরপর আজহার আলী রান আউট হয়ে ফিরে গেলেও ফখর জামান ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন। এটি তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে আউট হওয়ার আগে ৩ ছক্কা ও ১২টি চারের মারে ১০৬ বলে ১১৪ রান করেন ফখর।
ফখরের পর শোয়েব মালিক, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ ও ইমাদ ওয়াসিমের ছোট ছোট মারকুটে ইনিংসে দ্রুত গতিতে রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ভারতের হয়ে হার্দিক, ভুবনেশ্বর ও কেদার যাদব ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।