বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

ভাঙা-চোরা খানা-খন্দে গর্তে ভরা ঝিনাইদহের মহাসড়কে এবার পিচের উপর ইটের সলিং,দেখার কি কেউ নেই?

ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ-যশোর, কালীগঞ্জ-জীবননগর মহাসড়কে নতুন নির্মাণ করা প্রায় কয়েক কোটি টাকার রাস্তা এক মাসেই পিচ ও খোয়া উঠে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর এই সব সড়কে বড় বড় গর্ত মেরামত করতে দেওয়া হচ্ছে পিচ আর পাথরের পরিবর্তে নিম্নমানের ইট। আর এই ইট দেওয়ার মাত্র ২ দিন পরই ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে তা ধুলো হয়ে উড়ে যাচ্ছে। সাধারণ পথচারী ও গাড়ি চালককের বলতে শোনা গেছে, রাস্তা মেরামতে পিচের উপর ইটের সলিং করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সরেজমিনে বিভিন্ন সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর ও কালীগঞ্জ-জীবননগর মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ বিভাগ নারী ও পুরুষ শ্রমিক দিয়ে সড়কের বড় বড় গর্ত নিম্নমানের ইট দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। অনেক স্থানে খোয়া ও পিচ উঠে যাওয়ায় ইট দিয়ে সলিং করতে দেখা গেছে। অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিম্নমানের ইট দেওয়ার কারণে রাস্তা আরো বেশি ভাঙছে। মাঝে মাঝে ইজিবাইক, সিএনজি এমন বাস-ট্রাকও উল্টে যাচ্ছে। ঘটবে দুর্ঘটনা। গত এক সপ্তাহে সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে ১৫টির মতো দুর্ঘটনা ঘটেছে। সড়কের পাশে উল্টে গেছে বেশ কয়েকটি বাস ও ট্রাক।

ঝিনাইদহের সড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। সড়কের বেহাল দশায় দুরপাল্লার এসব যাত্রীরা বেশ ঝুঁকিতে চলাচলা করছেন। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঝিনাইদহের সবগুলো সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নির্মাণ বা মেরামতের কাজ নিম্নমানের হওয়ায় সড়কগুলো মোটেও টিকছে না। ভাঙাচোরা আর খানাখন্দে ভরে গেছে ঝিনাইদহের বিভিন্ন সড়ক। মেরামতের পরও ঝিনাইদহের চুটলিয়া, তেতুলতলা, বিষয়খালী, ডাকবাংলা, খয়েরতলা-বাকুলিয়া, কেয়াবাগান, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। নাজমুল হোসেন নামের এক পথচারী জানায়, রাস্তায় বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকলে বাইসাইকেল নিয়ে চলাচল করতে বেশ কষ্ট হয়। অনেক সময় গর্তের মধ্যে পড়ে যেতে হয়। শিরিনা খাতুন নামে সিএনজির এক যাত্রী বলেন, বড় বড় গর্তে জমে থাকা নোংরা পানিতে বাস-ট্রাক এসে ভিজিয়ে দেয়। এগুলো দেখার কি কেউ নেই? ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, বর্ষা মৌসুম শেষ না হলে পিচ-পাথর দেওয়া হবে না। আর দিলেও সেটা টিকবে না। এইজন্য যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্তে ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা ও কিছু স্থানে ইট দিয়ে সলিং করে আপাতত যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular