নিহতরা হলেন—সোহাগ মিয়া (৩৩), তার স্ত্রী জান্নাত আক্তার (২৫), তাদের দুই মেয়ে ফারিয়া আক্তার (৪) ও ফাহিমা আক্তার (২)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) সিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহত সোহাগ পেশায় একজন কাপড় ব্যবসায়ী। রাতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। প্রতিদিন তারা সকালে ঘুম থেকে উঠলেও আজ না উঠায় পরিবারের সদস্যরা তাদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে তাদের মরদেহ দেখতে পান।
এর মধ্যে সোহাগ ও এক মেয়ের মরদেহ টিনের চালের কাঠে ঝুলছিল। স্ত্রী জান্নাতের মরদেহ খাটে ও অন্য আরেক মেয়ের মরদেহ খাটের পাশে পড়ে ছিল।
সিরাজুল ইসলাম আরো জানান, তাদের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এটা হত্যা নাকি অন্য কিছু, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে। মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।