নিউজ ডেস্ক:
আয়ুর্বেদ জগতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ কর্পূর। মূলত গন্ধের জন্যই এর খ্যাতি। তবে পূজা পার্বণে এর ব্যবহারও কম নয়। বাজারে সাধারণত দুই ধরণের কর্পূর পাওয়া যায়। একটি কর্পূর গুল্ম থেকে পাওয়া যায় এবং অন্যটি কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়। কৃত্রিমভাবে তৈরি এডিবল কর্পূর মিষ্টি খাবারে সুগন্ধ সৃষ্টির জন্যও ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয় কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল। কর্পূর বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করা হয়। কর্পূরের উপকারিতা ও ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।
১। ত্বকের সমস্যায়:
আপনার যদি চুলকানি ও র্যাশের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কর্পূর হতে পারে এর প্রতিকার। এক টুকরো এডিবল কর্পূর নিন এবং সামান্য পানির সাথে মেশান। আক্রান্ত স্থানটি এই দ্রবণ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আস্তে আস্তে চুলকানি কমে যাবে। কিন্তু কখোনোই কাটা বা ক্ষতে কর্পূর ব্যবহার করবেন না। কারণ কর্পূর রক্তের সাথে মিশে গেলে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
২। প্রেগন্যান্ট নারীর জন্য:
অনেক প্রেগন্যান্ট নারীর পায়ের পেশীতে সংকোচনের সমস্যা হয়। সরিষার তেল বা নারিকেল তেলের সাথে সিনথেটিক কর্পূর দিয়ে তাপ দিন যতক্ষণ না পুরোপুরি মিশে যায়। তারপর মিশ্রণটির তাপমাত্রা কমলে কুসুম গরম অবস্থায় পায়ে মালিশ করুন।
৩। ব্রণ ও ব্রণের দাগ নিরাময়ে:
কয়েক ফোঁটা ভালমানের কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল অন্য একটি তেলের সাথে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত ত্বকে মালিশ করলে ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর হয়। তবে মনে রাখবেন কখোনোই কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা আমন্ড তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
৪। শিশুর ঠান্ডায়:
শিশুর বুকে কফ জমে গেলে তা দূর করতে সাহায্য করে কর্পূর। সরিষা বা নারিকেল তেলের সাথে সামান্য কৃত্রিম কর্পূর মিশিয়ে তাপ দিন। উষ্ণ অবস্থায় এই তেলের মিশ্রণটি শিশুর বুকে ও পিঠে মালিশ করুন।
৫। চুল পরা রোধে ও খুশকি দূর করতে:
আপনি নিয়মিত মাথায় যে তেল ব্যবহার করেন তার সাথে কর্পূর এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল পরা কমে। চুলে শ্যাম্পু করার আগে এই তেলের মিশ্রণ মাথার তালুতে ও চুলে ব্যবহার করুন। এটি খুশকি নিরাময়েও সাহায্য করবে।
সূত্র: উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট