নিউজ ডেস্ক:
বেগুনের নাকি কোনো গুণ নেই! বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণার আমূল বদলে দিয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বেগুনের ওজন কমানোর গুণের কথা বলা হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, এই সবজি প্রায়ই আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকে। তবে যখন স্বাস্থ্য রক্ষা বা ওজন কমানোর বিষয় দেখা হয় তখন বেগুনকে ধরা হয় না। অথচ ১০০ গ্রাম বেগুনে মাত্র ২৫ ক্যালোরি থাকে। খাদ্যআঁশে ঠাঁসা একটা সবজি এই বেগুন। তাই অনেকগুলো বেগুন খেয়ে ফেললেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে!
এছাড়াও বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ভিটামিন বি সিক্স, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন এবং থায়ামিন। এগুলো আমাদের দেহের ‘মেটাবোলিজম’ সক্রিয় রাখে। ফলে খাবার ভালো হজম হয় এবং শরীরে মেদ জমে না।
অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে আরও অনেক কারণেই বেগুন নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে —
হৃদপিণ্ডের রক্ষক : বেগুনে ফাইটোকেমিক্যাল অ্যান্থোসায়ানিনস থাকে যার কারণে বেগুনের রংটা এত চমৎকার দেখায়। তবে এটি আমাদের হৃদয়ের রক্ষণাবেক্ষণের কাজও করে। বেগুনে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে এবং সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক কম থাকে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বেগুনে থাকা ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টরেল দমিয়ে রাখে।
ক্যান্সার নিরাময় : অ্যান্থোসায়ানিনস এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ক্যান্সার নিরাময়ে কার্যকর।
ডায়বেটিস প্রতিরোধ : বেগুনে উচ্চ মাত্রায় আঁশ এবং কম পরিমাণে দ্রবণীয় শর্করা থাকে ফলে ডায়বেটিস প্রতিরোধের কাজেও বেগুন ভূমিকা রাখতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : বেগুণ একটা ক্ষারধর্মী খাবার। এটি পরিপাক তন্ত্রের অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সচল থাকে।
বেগুন রান্নার সঠিক পদ্ধতি : পুষ্টিবিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুধু বেগুন খেলেই হবে না, এই সবজি সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করতেও জানতে হবে—
খোসা বেগুনের মতোই গুণী : বেগুন খোসায় আঁশ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। এতে থাকা ফিনোলস মুক্ত আয়নের আবর্জনা খুঁটে খায়, যারা অগণিত রোগের কারণ।
ভাজলে গুণাগুণ নষ্ট হয় : বেগুণ ভাজলে তা সমস্ত তেল শুষে নেয়, এতে খাবারে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়, বেগুন খেতে হলে আলু বেগুনের চচ্চড়ি বা অল্প তেলে বেগুন ভাজার কোনো তুলনা হয় না। বেগুনের ভর্তাও একই রকমের উপকারী।