এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস
পালন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ ডিসেম্ব শুক্রবার বিকেল ৫টায় বীরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে উপজেলা
প্রশাসন এর আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়ামিন হোসেনের
সভাপতিত্বে সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি
হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের
জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আমিনুল
ইসলাম, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কালীপদ রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. নুর ইসলাম নুর, জেলা পরিষদের সদস্য মো. আতাউর
রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রিড়া সম্পাদক ইয়াছিন আলী প্রমুখ।
দিবসটির শুরুতে যথাযথ মর্যদায় উদযাপনের লক্ষ্যে তাজমহল মোড়ে শহীদ বুধারু
স্মৃতিস্তম্ভে ও বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের পাশে শহীদ মহসীন আলী’র কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি
অর্পন জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরে জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এর নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর থেকে
এক বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। আনন্দ
শোভাযাত্রায় বীরগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক-পেশাজীবি,
সাংবাদিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রসাসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ গ্রহন
করেন।
আলোচনা সভায় এমপি গোপাল বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লক্ষ মানুষের রক্তের ও ২ লক্ষ ৬৯
হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা। বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেই যুদ্ধপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে তাদের বিচার
শুরু করা এবং সেই বিচারের রায় কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে।
৬ ডিসেম্বর বীরগঞ্জ-কাহারোলের মুক্তিকামী মানুষ, বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং মিত্র
বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমনে এই দুই উপজেলা থেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী
পিছু হটতে বাধ্য হয়। আজকের দিনটি বীরগঞ্জ-কাহারোল বাসীর জন্য নিঃসন্দেহে
স্মরনীয় দিন। এই দিনটি যদি আমরা ইতিহাসের অংশ হিসেবে সম্পৃক্ত করতে না
পারি তবে স্বাধীনতা যুদ্ধে এই এলাকার মানুষের অবদান অন্ধকারাচ্ছন্নই থেকে যাবে।