এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি– দিনাজপুরের বীরগঞ্জের কবিরাজহাট খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে ঘুষ নিয়ে ব্যবসায়ীদের গম রাতের অন্ধকারে গুদামে নেওয়ার সময় প্রান্তিক কৃষক ও জনতা আটক করে। ইউএনওর উপস্থিতি হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের কবিরাজহাট খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডি হাসানাত জামাল ২২মে ভোর রাতে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে ঘুষের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের গম না নিয়ে ব্যবসায়ীদের গম কাঁটা তার কেটে পেল্টু চৌধূরীর মিলের মধ্য দিয়ে গুদামে নেওয়ার সময় প্রান্তিক কৃষক ও জনতা আটক করে।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম ছারোয়ার ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আগত শতশত তালিকা ভুক্ত কৃষককে শান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেনকে সংবাদটি অবগত করলে তিনি তৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় ভোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যর বদিউজ্জামান পান্না, সাতোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শেখ, আ’লীগ সভাপতি আদম মালিক, সাধারন সম্পাদক মমতাজুল করিম সহ শতশত তালিকা ভুক্ত কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষ দর্শীরা জানান, স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট প্রতি টনে ৩০০০/- থেকে ৩৫০০/- টাকা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হাসানাত জামাল ব্যপক অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সাথে গোপন চুক্তিতে সংরক্ষিত খাদ্য গুদামের উত্তর পাশের প্রাচীরের কাটা তার কেটে অবৈধভাবে রাতের আধারে কর্মকর্তা সহ নিরাপত্তা প্রহরী নুর মোহাম্মদ, রিপন কুমার সরকারের উপস্থিতিতে ঐ সব গম ঢুকানোর ফলে তালিকা ভুক্ত কৃষকেরা গম সরবরাহ করতে পারেনি।
অভিযুক্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হাসানাত জামাল বলেন, আমার বরাদ্দ ৩২১ মে.টন, ৭৫ ভাগ ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাকে দলীয় প্রভাবের কারনে এ পন্থা অবলম্বন করতে হয়েছে, আমার কোন দোষ নেই।
সরকারী ও সংরক্ষিত গুদামের প্রাচীর ধ্বংস করে এমন কর্মকান্ড ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক গোলাম ছারোয়ারের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন এ ব্যপারে সকল দায়ভার গুদাম কর্মকর্তার, তারা কেবলমাত্র উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাল দিয়েছেন। কেউ অপরাধ করলে যথাযত ব্যবস্থা নেয়া হবে।