মোঃ নাজমুল ইসলাম,দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পুনরায় আবার উপজেলা পরিষদের (ঘোড়া প্রতীক) চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক এমপি, দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে জমি দখল ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারই ভাতিজি রেহনুমা হোসেন।
১৩ মে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পুনরায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। বর্তমান বীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের বড় ভাই মরহুম আমজাদ হোসেনের তৃতীয় কন্যা রেহনুমা হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার একটি মাত্র ভাই মোঃ ইমরান তানয়ীম গত ৩০ জানুয়ারী ২০২১ সালে হঠাৎ করেই মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর খবর শোনার পর তার বাবা আমজাদ হোসেনও হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে একইদিনে মৃত্যুবরণ করেন। বাবা এবং ভাইকে একই দিনে হারিয়ে পরিবার নিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ি। পরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকারী ভাইয়ের অবুঝ চার বছরের সন্তান রয়েছে। এই সন্তানকেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যে কোন মুহূর্তে অর্থলোভী এই আমিনুল ইসলাম ক্ষতি করার আশঙ্কা করছি। যার কারনে বীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
রেহেনুমা রহমান আরোও বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম মদ্যপ পান করে মাতাল অবস্থায় বেশ কয়েকবার তাদের বসতবাড়ি দখল নেওয়ার পাঁয়তারা করলে পুলিশের সহযোগিতায় সেই সময় রক্ষা পেলেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এখন। স মিল সংলগ্ন বেশ কিছু জায়গা ইতিমধ্যে দখল করে নিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়িসহ দোকানপাট ও বেশ কিছু জমি দখল করে নিয়েছেন। এছাড়া তার লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা যে কোন মুহূর্তে তার পরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকারী কে ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন রকমের পাঁয়তারা শুরু করেছে। পরিবারের একমাত্র উত্তরাধিকারীকে যে কোন মহুর্তে ক্ষতি করতে পারে বলে তারা ভাইয়ের অবুঝ চার বছরের সন্তান ও ভাইয়ের স্ত্রীকে অষ্টলিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছে। তার ভয়ে ভাতিজি রেহনুমা রহমান সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও অন্যত্র বসবাস করছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, নাবালকের সম্পত্তি যাতে বিক্রি করতে না পারে। এজন্য আমি একটি আদালতে মামলা দায়ের করেছি। এই মামলা দায়ের করার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন আচরণ বিধিতে উল্লেখ রয়েছে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা যাবে না। তাই কোন একজন প্রার্থী নিজের স্বার্থের জন্য এই হীনমন্যমানসিকতার কাজগুলো করে বেড়াচ্ছে এতে করে ভোট বাড়তেছে না। নির্বাচন চলাকালে সংবাদ সম্মেলনের ঘটনাটি ঘলা পানিতে মাছ স্বিকার করার মতো ঘটনা। যাতে ভোটারেরা বিভ্রান্তিতে পড়ে। তবে জনগন আমার পক্ষে রয়েছে।