এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ভোগডোমা গ্রামে আশ্রায়ন প্রকল্প না করার দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ভোগডোমা গ্রামে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত প্রকল্পের আওতায় আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত গৃহহীন মানুষকে চিরস্থায়ী ভাবে (বসবাসের জন্য) পুনর্বাসিত কর্মসুচী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশ্রায়ন প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়েছে।
গত রোববার বিকেলে উক্ত এলাকায় আশ্রায়ন প্রকল্প না করার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় নেতৃত্ব দেন বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকা মার্কার পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন সরকারী জমি অবৈধ ভাবে দখল করেরাখা আব্দুল মান্নান, নেকতার আলী, ছলেমান আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহরাফ আলী, সিদ্দিক মোল্লা, হারুন মিয়া, সামসুল আলম, মোজ্জাফর হোসেন কাফি ও নীলা রানী রায়। এসময় মানব বন্ধনের আন্দোলোন কর্মসূচিতে শতশত নারী পুরুষ অংশ নেয়। এলাবাসীর পক্ষে জুরান আলীর পুত্র আব্দুল মান্নান প্রধানমন্ত্রী বরাবর ১টি স্মারকলিপি প্রদান করেছে। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে গৃহিত প্রকল্পের নির্ধারিত স্থানে বর্তমানে ধান-ভুট্টা-কলার চাষ করা হয়েছে। বালুচর জমিগুলো দীর্ঘকাল তথা বাব-দাদার আমল থেকে তারা চাষাবাদ ও ভোগদখল করে ৩ ফসলী জমিতে রূপান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার জন্য তারা প্রশাসনের নিকট দীর্ঘ দিন ধরে অনেক আবেদন-নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভাসহ আনন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন জানান, প্রকল্পটি অনেক আগেই প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩০ মে’১৭ইং মাটি ভরাট কাজ সমাপ্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদন ও নিদের্শ দেওয়ায় ১০৬ মেট্রিক টন খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আশ্রায়ন প্রকল্প এলাকায় মাটি ভরাট কাজ সমাপ্ত হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তদন্তকারী দলের প্রতিবেদন প্রদানের পর সেনাবাহিনী ১২ একর সরকারী খাস জমির মধ্যে (৩/৪ জন অবৈধ দখলদারের) ৩ দশমিক শুন্য ৪ একর জমিতে ২১টি ব্র্যাক হাউজ নির্মান করা হবে। প্রতিটি ব্র্যাক হাউজে ৫টি পরিবারকে সরকার কমপক্ষে ১ দশমিক ২৫ একর (আবাদী) রেজিষ্ট্রিকৃত কৃষি জমি, নলকুপ, ল্যাট্রিন, বাথরুম, বিদ্যুৎ, ঋণ সুবিধাসহ ১০৫টি পরিবার অন্যান্য সকল প্রকার সরকারী বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, তালাকপ্রাপ্ত ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, রাস্তায় মাটিকাটা কাজ সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাদি ভোগ করবেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ১০৫টি দরিদ্র গৃহহীন পরিবার উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত আশ্রায়ন প্রকল্পের বিপক্ষে কতিপয় বিপদগামী ব্যাক্তি সাধারন মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সরকারী কাজে বাধা দানের অপতৎপরতা চালাচ্ছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
অপর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা বলেন, সম্প্রতি পাল্টাপুর গ্রামের মৃত বেশার উদ্দিনের পুত্র তোফাজ্জল হোসেন পাল্টাপুর ইউনিয়নের কুড়িটাকিয়াহাটে জুয়া-মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের নামে জুয়ার মেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলম হোসেন কর্তৃক বন্দ করার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে তোফাজ্জল হোসেন।