এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি-
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১ স্কুল ছাত্রী প্রেমিকের সাথে শালবাগানে ঘুরতে এসে গণ ধর্ষনের শিকার হয়েছে, এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ ৫ ধর্ষককে আটক করে আদালতে প্রেরন করেছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের এলাইগাঁও মুন্সিপাড়া গ্রামের তাইফুল ইসলামের কন্যা কবিরাজ হাট আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণী ছাত্রী মোছাঃ রেমিনা খাতুন (১৬) গত ৭ এপ্রিল শনিবার বিকালে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহার ডাঙ্গাপাড়া (বগুড়া পাড়া) গ্রামের মৃতঃ শফিকুল ইসলামের পুত্র পল্লী চিকিৎসক মোবাইলের মাধ্যমে পরিচিত ৩ সন্তানের জনক প্রেমিক মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৫) এর সঙ্গে বীরগঞ্জ পৌর শহরের শালবাগানে বেড়াতে আসে। ঘুরাঘুরির ১ পর্য্যায়ে রফিকুল ও তার এক (অজ্ঞত নামা) বন্ধু রেমিনা খাতুনকে গাছের আড়ালে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। এ সময় শালবানে লুকিয়ে থাকা লম্পট বীরগঞ্জ পৌর শহরের মাকড়াই গ্রামের মৃতঃ আব্দুর রহমানের পুত্র আব্দুল মজিদ (৩৫), হাটখোলা হঠাৎ পাড়া গ্রামের মোঃ দুলাল হোসেনের পুত্র মোঃ সুমন (২২), জগদল হাট পুকুর গ্রামের মোঃ আঃ সালামের পুত্র মোঃ সুলতান অরফে সাদ্দাম (২৩) ও মাকড়াই দক্ষিণপাড়া গ্রামের জগদীশ হেমরমের পুত্র রুবেল হেমরম (২২) তাদেরকে আটক করে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক মেয়েটিকে উদ্ধার করে ও রফিকুল ইসলামকে আটক করে শালবাগানের পার্শবতী বাড়ী স্থানীয় সুজালপুর ইউপি সদস্য ভবেশ চন্দ্র রায় এর বাড়ীতে নিয়ে যায়। সুজালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মহেশ চন্দ্র রায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় আপোষ মিংসার নামে কালক্ষেপন করে। আপশের চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে রাত্রী ৯টার দিকে থানায় সংবাদ দিলে পুলিশ তাদেরকে থানায় নিয়ে আসে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ এর নির্দ্দেশে এ.এস.আই মামুন রশিদ মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আব্দুল মজিদ, সুমন, রুবেল হেমরম, সাদ্দামকে গ্রেফতার করে।
এব্যাপারে রেমিনার বাবা তাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাতেই বীরগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে।