এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ২য় উপ-নির্বাচনে মামলা ও হামলার জবাবে জনগন ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেন।
৩ অক্টোবর উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ২য় উপ-নির্বাচনে ২০,৪৪৮ জন ভোটার এর মধ্যে ১৫,১৪০ জন ভোটার ১১ টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করেন। ১৯৭ টি ভোট বাতিল করা হলে ১৪,৯৪৩ টি ভোট বৈধ হয়। বে-সরকারী ফোলাফোলে ৪৪৭৩ ভোট পেয়ে ধানের শীষ বিজয়ী হয়। তার নিকটতম প্রতিদন্দী নৌকা ৪২০৫ ভোট পায়।
ফলাফল অনুসারে ঃ- ভোগডোমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম-১০৮, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ৩৫১, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ২৫১, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ৩৮৪, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ১৪৮ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০৬ ভোট পায়।
দক্ষিন রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৪৯০, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ১৫৬, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ৭২৫, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ১০৯, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ১৩ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ৫৪ ভোট পায়।
পশ্চিম ভোগডোমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (২য় তালা পুরুষ) কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ১৫০, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ২৪৮, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ৩৮৯, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ১২৫, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ১৩৯ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ১৩ ভোট পায়।
পশ্চিম ভোগডোমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (নিচতালা মহিলা) কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ১১৩, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ১৮৩, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ৪০০, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ১১০, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ১৩৮ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ২১ ভোট পায়।
সনকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৬৬২, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ৩৯৫, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ২০১, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ২৯৩, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ১৪ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০৩ ভোট পায়।
সেনগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৬৯৭, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ৭১৫, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ২৫৪, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ১৬৯, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ২১ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০০ ভোট পায়।
বাছারগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৩৭৪, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ১৩৬, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ২০৫, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ১১০৬, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ২১ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০৪ ভোট পায়।
কুড়িটাকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৩৫১, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ১০২০, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ১০৭, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ১২২, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ০১ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০২ ভোট পায়।
ঘোড়াবান্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (দক্ষিন পুরুষ) কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৪১১, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ৪৪৫, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ১০১, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ৯৫, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ০২ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০১ ভোট পায়।
ঘোড়াবান্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (পশ্চিম মহিলা) কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৪৪৪, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ৩৩১, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ৭৯, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ৮২, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ০৩ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০০ ভোট পায়।
কাজল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৬৭৩, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ২২৫, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ২৭১, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ৭০, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ০৯ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ০৪ ভোট পায়।
সর্ব মোট- ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী তহিদুল ইসলাম- ৪৪৭৩, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা- ৪২০৫, আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেন্দ্রনাথ রায় কোকিল- ২৯৮৩, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নূর আলম সিদ্দিকী রয়েল- ২৬৬৫, চশমা প্রতীকের প্রার্থী জুলফিকার শেখ সামসুজ্জোহা- ৫০৯ ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম- ১০৮ ভোট পায়।
নির্বাচন শেষে ফলাফলকে প্রত্যাক্ষন করে দলীয় সমর্থকদের নিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন রাজা উপজেলা পরিষদ ও নির্বাচন কার্য্যালয় ঘেরাও করে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ফলাফল প্রত্যাক্ষনক কারীদের সান্তনা দিলে তারা চলে যায়।
অপরদিকে এসময় উপস্থিত বিএনপির সমর্থকরা জানায়, ২য় উপ-নির্বাচনের শুরুতেই ২/৩টি মামলা করে প্রার্থীদের নির্বাচনি কাজে বাধার প্রতিবাদে নিরব ভোটের মাধ্যমে বিএনপি’কে বিজয়ী করেছে জনগন।