নিউজ ডেস্ক:
বিয়েবাড়িতে তখন প্রায় পাঁচশো অতিথি এসে গেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানও শুরু হয়ে গেছে। তখনই হাতে পিস্তল নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে বিয়ের আসরে হাজির হলেন এক নারী। সোজা বরের দিকে বন্দুক তাক করে ওই নারী দাবি, করলেন, তিনি তার সন্তানের মা হতে চলেছেন।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের খবর অনুযায়ী, বুধবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের কানপুর দেহাত জেলার শিভলি এলাকায়। নিজেকে সন্তানসম্ভবা বলে ওই নারী আরও দাবি করেন, বিয়ে করতে আসা পাত্র দেবেন্দ্র অবস্তির সঙ্গে একটি মন্দিরে আগেই লুকিয়ে বিয়ে হয়েছে তার। ফলে অন্য কোনও নারীকে ওই ব্যক্তি বিয়ে করতে পারেন না বলে দাবি করেন তিনি।
অভিযুক্ত পাত্র দেবেন্দ্র অবশ্য দাবি করেন, তিনি ওই নারীকে চেনেনই না। তাকে তিনি প্রথমবার দেখছেন বলেও দাবি করেন ওই পাত্র। যদিও দেবেন্দ্রর এই দাবিকে আমল দিতে চাননি ওই নারী। উল্টে পাত্রের এই দাবি শুনে ওই নারী পাল্টা নিজের দিকে পিস্তল তাক করে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন।
নারীর এমন চাঞ্চল্যকর দাবি শুনে স্বভাবতই কনেপক্ষের বাড়ির লোক অবাক হয়ে যান। যার সঙ্গে চারহাত এক করতে যাচ্ছিলেন, সেই পাত্রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ শুনে বিয়েতে বেঁকে বসেনও পাত্রীও। আপত্তি জানান মেয়ের বাড়ির লোকেরাও। এর পরই বাতিল হয়ে যায় বিয়ে। হবু জামাইকে শ্বশুড়বাড়ি থেকে সোনাদানা-সহ যে দামি উপহারগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেসব ততক্ষণাৎ ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা অনেক বুঝিয়ে অভিযোগকারী নারীকে শান্ত করে ফেরত পাঠান। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ওই নারীর দাবি সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।