নিউজ ডেস্ক:
ক্ষতিপূরণ, ছোট্ট এই শব্দটার মাহাত্ম্য অনেক। আবার এই শব্দটাই একটা আস্ত গল্প তৈরি করে দিতে পারে। গল্পটা মুম্বাইয়ের। দু’মাস ধরে বিয়ের প্রস্তুতি চলেছিল জোরকদমে। দু’পক্ষই তৈরি বিয়ের জন্য। অবশেষে সেই কাঙ্খিত দিন। বিয়ের আসরে পৌঁছাল বর, বসল বিয়ে করতে। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক, আর পাঁচটা বিয়ের মতোই। জল গড়াল অন্য খাতে, একটু পরে।
সময় যতই এগোল, দেখা গেল কনের কোনও পাত্তা নেই। কনে যে আসবে না, তা ততক্ষণে বুঝে গেছেন বিয়ের আসরে উপস্থিত পাত্র, বরপক্ষের বাকি লোকজন ও অন্যান্য অতিথিরা। বিয়ে ভন্ডুল,কোনওরকম ঝামেলা, ঝঞ্ঝাটে যাননি পাত্র শ্রীকান্ত কুম্বলে। সোজা বিয়ের মন্ডপ থেকে উঠে চলে যান থানায়।
কনে পূজা ভান্ডারির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগে পরিষ্কার উল্লেখ করেন তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। গত দু’মাস ধরে তিনি ও তাঁর পরিবার বিয়ের প্রস্তুতিতে দুই লাখ টাকা খরচ করেছেন। সেই টাকা ফেরত দিতে হবে পাত্রীর পরিবারকে।
কালাচৌকি থানায় দায়ের করা অভিযোগে শ্রীকান্ত আরও বলেন, তাঁরা মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। পূজার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। বিয়ের আসরে পূজার না আসা পরিকল্পিত ছিল বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেছেন শ্রীকান্ত। তাই যে টাকা তাঁর পরিবার বিয়ের জন্য খরচ করেছিল, সেই টাকার পুরোটাই ফেরত চেয়েছেন তিনি।
কুম্বলের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ। পূজার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তদন্তকারীরা। খুব তাড়াতাড়ি পূজাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এন অম্বিকা। পূজার তাঁকে কখনওই বিয়ে করতে চাননি বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন কুম্বলে।
পরে কালাচৌকি থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন পূজা। সাফাই দিয়েছেন নিজের কৃতকর্মের। বিয়েতে তাঁর কোনওদিনই মত ছিল না বলে পরিষ্কার জানিয়েছেন তিনিও। কার্যত তাঁর মতের বিরুদ্ধে বাড়ির লোকজন তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিল বলে স্বীকারোক্তি পূজার। তাই বিয়ের দিন নিজের প্রেমিকের সঙ্গে তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন যুবতী। এরপর পুলিশ কী করবে, সেটা সময় বলবে। আলোচনা করে সমস্যার সমাধানও হয়ে যাবে। তবে বিয়েটাই এ যাত্রায় হল না পাত্র কুম্বলের।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন