নিউজ ডেস্ক:
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার খবর বের হওয়ার পর থেকে সারা বিশ্বের বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন বর্ষীয়ান মার্কিন সংগীতশিল্পী বব ডিলান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন চলছে ৭৫ বছর বয়সী এই তারকার বন্দনা। লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেন, ‘অর্ফিয়াস থেকে ফাইজ, গান ও কবিতা একটার সঙ্গে আরেকটা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। চারণ কবিদের সংগীতরীতি বা জীবনযাত্রা সম্পর্কিত ঐতিহ্যের উজ্জ্বল উত্তরাধিকারী ডিলান।’
ভারতের গুণী সংগীতশিল্পীদের অনেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডিলানকে। গানের মানুষ হিসেবে তিনি এ পুরস্কার জেতায় গর্বিত সবাই। গীতিকার জাভেদ আখতার মনে করেন, ডিলানকে সাহিত্যে নোবেল দেওয়ার মধ্য দিয়ে অবিশ্বাস্য এবং আশ্চর্যজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টকহোমের সুইডিশ অ্যাকাডেমি। সংগীতও যে সাহিত্যের অংশ এতে তা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘গানকে সচরাচর সাহিত্য হিসেবে ধরা হয় না। বব ডিলান সে ধারণায় পরিবর্তন আনতে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন।’ অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তিন প্রজন্মকে গানে গানে প্রভাবিত করার জন্য বব ডিলানকে ধন্যবাদ জানাই। মানুষকে তাদের ম্যাড়ম্যাড়ে জীবনযাপন থেকে সরিয়ে অন্য এক পৃথিবীতে নিয়ে গেছেন তিনি। সাহিত্যে তার নোবেল জয় আমরা উদযাপন করছি।’ সরোদশিল্পী আমজাদ আলি খান বলেন, ‘নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য ছিল তার।’ এ ছাড়া অভিনন্দন জানিয়েছেন ঊষা উত্থুপ, গায়ক আদনান সামি, সংগীত পরিচালক-গায়ক বিশাল দাড়লানি, গায়িকা শিল্পা রাও, অভিনেতা ঋষি কাপুর, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কুনাল কোহলি, নির্মাতা সুধীর মিশ্র।
আমেরিকান সংগীত ঐতিহ্যে নতুন ধারার কাব্যিক অভিব্যক্তি প্রবর্তনের স্বীকৃতিস্বরূপ নোবেল পান বব ডিলান। আগামী ১০ ডিসেম্বর বাকি পাঁচ বিজয়ীর পাশাপাশি তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। তার বিখ্যাত গানের তালিকায় রয়েছে ‘ব্লোইং ইন দ্য উইন্ড’, ‘মিস্টার ট্যাম্বুরিন ম্যান’, ‘লাইক অ্যা রোলিং স্টোন’, ‘অ্যা হার্ড রেইনস অ্যা-গনা ফল’ ইত্যাদি।
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এ গিটার আর হারমোনিকা হাতে সংগীত পরিবেশন করেন বব ডিলান। বিখ্যাত ব্যান্ড বিটলসের সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের বন্ধু। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।