নিউজ ডেস্ক:
পর্নোগ্রাফি একটি বিতর্কিত বিষয়। বিভিন্ন দেশে পর্নো নিয়ে নানা বিতর্ক আর সমালোচনা রয়েছে। এমনকি কোন কোন দেশে পর্ন সাইটগুলো নিষিদ্ধও করা হয়েছে। তবু থেমে নেই এই ব্যবসা। বিশ্বের নামিদামী পর্নস্টারদের মধ্যে যারা বেশি সমালোচিত হয়েছেন তাদের নিয়ে রইল কিছু তথ্য-
টোরি ব্ল্যাক:
২৭ বছরের এই আমেরিকান পর্নস্টার নীল ছবির জগতে সবথেকে সুন্দরী হিসেবে পরিচিত। ২০০৭ সালে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে ওঠেন দারুণ জনপ্রিয়। নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন। শুধু পর্নো ওয়েবসাইটেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর অসংখ্য ফ্যান ফলোয়ার রয়েছে। মা হওয়ার পর বছর দু’য়েক বিশেষ কাজ করেননি। কিন্তু ২০১৬ সালে কামব্যাক করে ফের দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন টোরি। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৮৩টি পর্ন ছবিতে অভিনয় করেছেন এই মার্কিন সুন্দরী।
মিয়া খালিফা:
বর্তমান বিশ্ব তাঁকে এক ডাকে চেনে। চশমা চোখে এই ‘হটকে’ পর্নস্টার এখন নানা কারণে সংবাদের শিরোনামেই থাকেন। লেবানিজ-আমেরিকান অভিনেত্রীর নীল ছবির ক্যারিয়ার মাত্র তিন বছরের। তা সত্ত্বেও সোশ্যাল মিডিয়া তাঁকে নিয়ে বেশ সরগরম থাকে। পর্ন ওয়েবসাইট পর্নহাব জানাচ্ছে, ২০১৪ সালে তাঁর ছবিগুলিই সাইটে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল। মুসলিম সম্প্রদায়ের এই তারকা হিজাব পরে পর্ন ছবিতে অভিনয় করার জন্য একাধিকবার সমালোচনা মুখেও পড়েছেন।
এলেক্সিস টেক্সাস:
৩০ বছরের এই মার্কিন পর্নতারকা ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ২০০৬ সালে। প্রতিটি ছবিতেই তাঁর অভিনয়ের সিগনেচার স্টাইলের জন্য তিনি বেশি জনপ্রিয়। ৫৬৬ টি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। গত বছর ‘বেস্ট অল-গার্ল গ্রুপ সেক্স সিন’ এবং ‘মোস্ট এপিক অ্যাস’-এর জন্য দুটি পুরস্কার পেয়েছিলেন এলেক্সিস।
হোলি মাইকেলস:
সুন্দরী, লাস্যময়ী এই অভিনেত্রী গত কয়েক বছর ধরে বেশ চর্চায় রয়েছেন। ২০১০-এ নীল ছবির জগতে পা রাখেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ১৮ বছর। তাঁর সদ্য প্রস্ফুটিত যৌবনে আকর্ষিত হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ দর্শক। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্যারিয়ারে একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন হোলি।
কেয়ডেন ক্রস:
৩০ বছরের এই পর্নস্টার খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করেননি। তবে নিজের ‘হট’ লুকের জন্য ইনিও দারুণ জনপ্রিয়। ‘গ্লিডিং অল ওভার’ সিরিজের পঞ্চম সিজনের ‘ব্রেকিং বেড’ দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি। যে দৃশ্য সেই সময় ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। যদিও পরে তা ডিভিডিতে প্রকাশিত হয়। পর্ন ছবির অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি একজন লেখিকাও। নিজের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে চারটি পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।