বিগত সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরাও জড়িয়েছে দুর্নীতিতে। আর্থিক অনিয়ম, নিয়োগে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়মের মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থাকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।
দুদকে অন্তত ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে প্রাথমিক দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ গড়ার কারিগর যখন লুটপাটে জড়ায়, তখন সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা কলুষিত হয়ে যায়।
শেষ কর্মদিবসে অবৈধভাবে ৫০ জনকে চাকরি দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি শিরিণ আখতার। যাদের কাছ থেকে ক্ষেত্রভেদে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা করে ঘুষ নেন। এছাড়া একদিনে দুই অনুষ্ঠানের নামেও ৬৩ লাখ আত্মসাতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ভিসি শিরিণ আখতারের বিরুদ্ধে।
চবির সাবেক ভিসি থেকে কয়েকধাপ এগিয়ে রাবির সাবেক ভিসি আব্দুস সোবহান। ২০২১ সালে মেয়াদের শেষ দিনে দেড়শো ছাত্রলীগ কর্মীকে অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার খোরাক যোগান তিনি।
অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে তোপের মুখে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি শেখ আব্দুস সালামসহ বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক। এসব শিক্ষকরা নিয়োগ-পদোন্নতি ঘিরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির যেন হাট বসেছিলেন।
দুদক বলছে, সকল অভিযোগই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রে অধ্যাপক হাছনাত আলী বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ভিসি নিয়োগ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়নি।
ইতোমধ্যে রুয়েটের সাবেক ভিসি রফিকুল ইসলাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি মোরশেদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।