চুয়াডাঙ্গা নিচের বাজারে আবারও মনিটরিং টিম, অভিযানে ব্যবসায়ীর জরিমানা
নিউজ ডেস্ক:নির্দেশনা দিয়ে আবারও চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারে অভিযান চালিয়েছে মনিটরিং টিম। তবে নির্দেশনা ও পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেকটাই ফিটফাট দেখা গেছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। নির্দেশনা অনুযায়ী টাঙানো হয়েছে মূল্যতালিকা। সে অনুযায়ীই চলছে কেনাবেঁচা। যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেয় বিজিবি। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি সিব্বির আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় পণ্য-সামগ্রীতে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মুদি ব্যবসায়ীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে গত শনিবার সকালে কাঁচাবাজার মনিটরিং কার্যক্রম কিছুটা বিঘিœত হলে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গার নিচের বাজারে দ্বিতীয় দফায় বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে মূল্যতালিকা টাঙাতে দেখা যায়। অন্য দিনের চাইতে কিছুটা দাম কমিয়ে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয় পেঁয়াজ। এ ছাড়া আলু, রসুন, ঝাল, শুকনা ঝাল, আদাসহ সবরকম সবজির দাম স্বাভাবিক ছিল।
এদিকে, কাঁচাবাজার ও আড়তে অভিযান শেষে মুদিখানার দোকান মনিটরিংয়ের সময় একটি দোকানে পণ্যসামগ্রীতে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করায় তা অভিযানিক দলের দৃষ্টিগোচর হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোকান মালিক সোহাগ রহমান সবুজকে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ এর ৪ (১২) ধারায় তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ। অভিযানে অংশ নেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমজাদ হোসেন, জেলা বাজার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামসহ জেলা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। এ ছাড়াও জেলা দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাদের জগলুসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
মাদকবিরোধী অভিযান:
বেলা একটার দিকে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দামুড়হুদা দর্শনার রামনগর কালিদাসপুর পাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ১ শ গ্রাম গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও ৮ লিটার তাঁড়িসহ বৃষ্টি খাতুনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের বিভিন্ন ধারায় আনোয়ার হোসেনকে ৬ মাস ও বৃষ্টি খাতুনকে ২০ দিনের কারাদ- দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহমেদ ও আমজাদ হোসেন। পরে তাঁদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।