ফেন্সিডিল ৩৭৩২ বোতল
ইয়াবা ট্যাবলেট ১০১১০ পিচ
হেরোইন ৫০৬ পুড়িয়া
বিদেশী মদ ২৯ বোতল
দেশী মদ ৩৫ লিটার
মামলার সংখ্যা ৪০১ টি
(২০২০ জানুয়ারী-জুন মাস পর্যন্ত)
মোট আসামী গ্রেফতার ৪৯৫ জন
গাঁজা ৩৭৭.২১০ কেজি
ফেন্সিডিল ২৯৫৭ বোতল
ইয়াবা ট্যাবলেট ২৮১৫৫ পিচ
হেরোইন ২৬.৬৯ গ্রাম
বিদেশী মদ২০ বোতল
দেশী মদ ১০ লিটার মামলার সংখ্যা ৩৮৯ টা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে পুলিশ সদস্য কর্তৃক মাদক সেবনের যে ভিডিও চিত্র দেখানো হয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে ডিসেম্বর-২০১৯ সালের ঘটনা বলে প্রতীয়মান হয়। যে ভিডিও চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে তাতে অভিযুক্ত মাদক সেবনকারী কর্মকর্তার গায়ে একটি শীতের জ্যাকেট পরিধান করা ছিল যা এর প্রমাণ বহন করে। তবে ঘটনাটি সংক্রান্তে জেলা পুলিশ অবহিত হওয়ার সাথে সাথে উল্লেখিত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া প্রকাশিত সংবাদে একজন এসআই এর নাম উল্লেখপূর্বক ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর নিকট হতে টাকা নেওয়ার যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, সেটিও ২০১৯ সালের ঘটনা। তবে উল্লেখিত ঘটনা সংক্রান্তে অভিযোগকারী জনাব সুজিত ভদ্র (১০টি মামলার অভিযুক্ত ও এজাহারভুক্ত আসামী) গত ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ তারিখে পুলিশ সুপার, লালমনিরহাটের নিকট অভিযোগটি দাখিল করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির সাথে সাথে পুলিশ সুপার, লালমনিরহাটের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল), লালমনিরহাট একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাতে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার প্রেক্ষিতে উল্লেখিত এসআই এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ আইন এবং পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) অনুযায়ী গত ১৬-০৬-২০২০ তারিখে একটি বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়। যা বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। উল্লেখ্য যে, কোন কর্মকর্তা বদলী হলেও তার বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলা যথানিয়মে পরিচালিত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়ার কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ার সুযোগ নেই এবং এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া।টিভি নিউজ লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি ২৮ জুলাই, ২০২০ তারিখে লালমনিরহাট জেলার মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশ সুপার, লালমনিরহাট এর একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। তবে সেই সাক্ষাৎকারে তিনি পুলিশ সুপারকে কোন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করেননি। সে কারণে পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন-“সে রকম কোন প্রমাণ আমাদের কাছে আসেনি, যদি এমন কোন স্পেসিফিক প্রমাণসহ কোন অভিযোগ আমাদের কাছে আসে, সে পুলিশ হউক পাবলিকই হোক, যেই হউক না কেন মাদকের সাথে যেই জড়িত থাক তার বিরুদ্ধে যথানিয়মে বা স্বাভাবিক নিয়মেই আমরা কাজ করে থাকি”। উক্ত ভিডিও চিত্রটি যে ২০১৯ সালে গোপনে (ভিন্ন ঘটনার সহিত সংশ্লিষ্ট) ধারণকৃত তা ডিবিসি নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া সাক্ষাৎকার গ্রহণের পূর্বে ধারণকৃত পুরনো ভিডিওটি পুলিশ সুপার এর নিকট উপস্থাপনও করা হয়নি। সাক্ষাৎকারটি প্রচারের সময় প্রতিবেদকের প্রশ্নের অংশটি প্রচার না করে সুকৌশলে পুলিশ সুপারের বক্তব্যের অংশটুকুই প্রচার করা হয়েছে এবং ২০১৯ সালের গোপনে ধারণকৃত মাদক সেবনের ভিডিও চিত্রটি সম্প্রতি নেওয়া পুলিশ সুপারের সাক্ষাৎকারের সাথে সংযুক্ত করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, সংবাদটিতে জনসাধারণের সেন্টিমেন্টকে উষ্কে দিয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই পুলিশ সুপার সম্পর্কে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করছেন যা একেবারেই অনভিপ্রেত। লালমনিরহাট জেলার প্রায় নয়শত পুলিশ সদস্যের মধ্যে শুধু দুইজন পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত আচরণের কারণে সকল পুলিশের বিরুদ্ধে ঢালাও মন্তব্য “খোদ পুলিশের বিরুদ্ধেই মাদক সেবনের অভিযোগ” কতটা যুক্তিযুক্ত তা বিবেচনার দাবী রাখে। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ লালমনিরহাটের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট। লালমনিরহাট জেলা পুলিশ কোনভাবেই মাদক কিংবা অন্য যে কোন অপরাধকেই প্রশ্রয় দেয় না, বরং সকল প্রকারের অপরাধ ও অনিয়ম নির্মূলে কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করে থাকে। যার প্রমাণ বিগত ছয় মাসের বেশ কয়েকটি ঘটনার মধ্যদিয়ে লালমনিরহাটবাসী সম্যক অবগত রয়েছেন। প্রসঙ্গত বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, লালমনিরহাট জেলার প্রায় ১২০ কিঃ মিঃ এর অধিক ভারতীয় সীমান্ত এলাকা। যার মধ্যে রয়েছে নদী বিধৌত দুর্গম এলাকা। মাদক চোরাকারবারিরা ও মাদকসেবীরা এর সুবিধা নিয়ে থাকে বিভিন্ন কায়দায়। প্রকাশিত সংবাদে তিন জনের একত্রে বসে মাদক সেবনের যে ভিডিও চিত্রটি দেখানো হয়েছে তা সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকায় বলেই ধারণা করা যায়। কিন্তু সীমান্তবর্তী নূন্যতম ১.৫ কিঃ মিঃ এলাকায় পুলিশি অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কিছু আইনগত বিধিবিধান রয়েছে-যা হয়ত অনেকেরই অজানা। ফলে অনেক ক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। মাদক বিস্তারের ধোঁয়া তুলে লালমনিরহাট জেলা পুলিশের সাথে সম্মানিত নাগরিকগণের মধ্যে দূরত্ব তৈরীর যে প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সবসময়ই মিডিয়া বান্ধব এবং যেকোন সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত যে কোন প্রতিবেদনকে আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকি। তবে যেকোন সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে পূর্বাপর প্রেক্ষাপট বিবেচনার দাবী রাখে। এক্ষেত্রে লালমনিরহাট জেলা পুলিশ যে কোন বিষয়ের ঢালাও মন্তব্য করার পূর্বে এর গভীরতা অনুধাবনও প্রত্যাশা করে। সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় কাজ করে যাবে লামনিরহাট জেলা পুলিশ। মাদকের দুষ্টচক্র ভাঙ্গছে.. এক্ষেত্রে কাউকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।জানান জেলাপুলিশে তরফ থেকে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশসুপার আবিদা সুলতানা মুুুঠোফোনে জানান আমাদের যাবতীয় কর্মকাণ্ড প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখা জেলা পুলিশের ফেসবুক পেজ এ তুলে ধরা হয়েছে